খুলনার খবর।।খুলনা নগরীর ট্র্যাংক রোডে নিজ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. আলামিন সবুজ (৩৭) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে সদর থানাধীন ৬৬ এমটি রোডের ওই বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
মৃত আলামিন সবুজ খুলনার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মৃত সিরাজ মল্লিক ও মৃত পান্না বেগমের ছেলে। পেশায় ছিলেন ফার্নিচার মিস্ত্রি। বর্তমানে তিনি স্ত্রী লিমাসহ শ্বশুরবাড়ি রূপসার আলাইপুর ইউনিয়নের পিঠাভোগ গ্রামে বসবাস করছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বুধবার থেকে সবুজ নিখোঁজ ছিলেন। খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার তারা রূপসা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। শনিবার সকালে তার স্ত্রী লিমা শাশুড়ি ও এক আত্মীয়কে নিয়ে ট্র্যাংক রোডের পরিত্যক্ত বাড়িতে যান। এ সময় তারা ঘরের ছাদের হুকে ঝুলন্ত অবস্থায় সবুজের লাশ দেখতে পান। পরে পরিবারের লোকজন ৯৯৯-এ ফোন করলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
মৃত সবুজের বড় বোন সাথী জানান, প্রায় ১২ বছর আগে জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে তাদের চাচা নজরুল মল্লিক নজু তাদের পরিবারকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর একাধিকবার তারা বাড়িতে ফিরতে চাইলে বাধার সম্মুখীন হন। সাথীর অভিযোগ, জমির বিরোধের জের ধরেই তাদের চাচা নজরুল মল্লিক নজু সবুজকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।
এ অভিযোগের সুরে সবুজের স্ত্রী লিমাও বলেন, বুধবার সকালে তিনি ফার্নিচারের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। পরে আর ফেরেননি। বহু খোঁজাখুঁজির পর শনিবার সকালে স্বামীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তার ধারণাও, জমি নিয়ে বিরোধের কারণেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।খুলনা সদর থানার পুলিশ জানিয়েছে, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে মনে হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।