অতনু চৌধুরী (রাজু) বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।।বাগেরহাটের ফকিরহাট সরকারি ডিগ্রি কলেজে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা দিয়েছে নজিরবিহীন বিপর্যয়।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, মোট ২৯০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ২৩৫ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই ইংরেজি বিষয়ে ফেল করেছেন।
সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলছেন, এই ফলাফল বিপর্যয়ের মূল কারণ কলেজের শিক্ষকদের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতা। অনেক শিক্ষক নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকেন না, বরং শিক্ষকদের মিলনায়তনে কেরাম বোর্ড খেলে সময় কাটান। এমনকি ক্লাস শুরু হওয়ার পরেও শিক্ষককে ডাকতে গিয়ে দেখা যায় তিনি খেলায় ব্যস্ত—অভিযোগ এমনটাই শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষক-কর্মচারীদের আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা তবে তারা বলেন, “কলেজ সরকারি হওয়ার পর থেকেই অনেক শিক্ষক ও কর্মচারী দায়িত্বে গাফিলতি করছেন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরাও এখন বিসিএস কর্মকর্তার মতো আচরণ করেন।”
অভিভাবকরাও জানান, ফলাফল বা একাডেমিক অগ্রগতি সম্পর্কে কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদেরকে কখনো অবহিত করা হয় না।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি কলেজ পরিচালনার চেয়ে প্রশাসনিক ক্ষমতার ভোগেই বেশি মনোযোগী। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে।
এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী ফেল করায় অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, যথাযথ তদারকি ও জবাবদিহিতার অভাব শিক্ষাব্যবস্থায় অস্থিরতা তৈরি করছে।
অন্যদিকে শিক্ষিত সমাজের একাংশ মনে করেন, এ বিপর্যয়ের পেছনে কেবল শিক্ষকদের অবহেলাই নয়, বিগত সরকারের অটোপাস ও পরীক্ষা হীন শিক্ষা ব্যবস্থাও বড় ভূমিকা রেখেছে। তাদের মতে, “প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে সহজে পাসের সংস্কৃতি গড়ে তোলার ফলই আজ এইচএসসি স্তরে এমন দুরবস্থা।”
সব মিলিয়ে স্থানীয় জনগণ দাবি করেছেন—ফকিরহাট সরকারি ডিগ্রি কলেজে শিক্ষার মানোন্নয়নে অবিলম্বে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা নিশ্চিত করা জরুরি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।