মোঃ জসিম উদ্দিন তুহিন,যশোর জেলা প্রতিনিধি।।যশোর শামস্-উল হুদা ফুটবল স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে। উল্লেখযোগ্য দর্শক এদিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন। তার মাঝেই ট্রফি জয় করেছে যশোর সদর উপজেলা। তাদের কাছে পরাজিত হয়েছে চৌগাছা উপজেলা।
ম্যাচের ৬১ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন সদরের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় জুলু।ফাইনালে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন চৌগাছা উপজেলার ফরেনার খেলোয়াড় আরিসেট। টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন একই দলের গোলরক্ষক সিহাব।এদিনের ম্যাচে মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি দু’দলের সমর্থকদের উম্মাদন দেখা গেছে। খেলা শুরু হওয়ার কিছুটা সময় পর স্টেডিয়ামের দক্ষিণ প্রান্তের আমেনা খাতুন গ্যালারি ও তার পশ্চিম পার্শ্বের গ্যালারি, মাঠের পশ্চিম দিকের ভিআইপি গ্যালারি ও উত্তর দিকের গ্যালারি দর্শকে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ম্যাচের সময় যতই বাড়তে থাকে ততই দর্শকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে মাঠের ফেঞ্চি গেইট দিয়ে জোর পূর্বক দর্শকরা মাঠে প্রবেশ করতে থাকে। ফলে দু’দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও ম্যাচ রেফারিদের নিরাপত্তার শঙ্কা জেগে ওঠে। যদিও কোন ঘটনা ঘটেনি। পাশাপাশি মাঠের মধ্যে নির্ধারিত জায়গা থেকে সংবাদ কর্মীরা তথ্য সংগ্রহে দারুণভাবে বাধাগ্রস্থ হন।যশোর সদর উপজেলা যখন গোল করে তখন মূল মাঠের মধ্যেই ঢুকে পড়ে সমর্থকরা। স্টেডিয়ামের পশ্চিম দিকের গ্যালারি খুলে দিলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হতো না বলে দাবী মাঠে প্রবেশ করা একাধিক দর্শকের।জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজক যশোর জেলা প্রশাসন। আর সহযোগিতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা। অথচ এমন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির কোন সদস্যকে। যা নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।এদিনের ম্যাচে চৌগাছা উপজেলা ছিলো রক্ষণাত্বক। পরিকল্পনাটা এমন যে নিজেদের রক্ষা করো, পারলে প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমন করে গোল আদায় করে নেও।
অন্যদিকে যশোর সদরের লক্ষ্যটা ছিলো শুধুমাত্র জয় তুলে নেওয়া।ফলে প্রথমার্ধের পুরোটা সময় ও বিরতি থেকে ফিরে এসে এই অর্ধের ২৬ মিনিট পর্যন্ত রক্ষণাত্বক ভূমিকাতেই ছিলো চৌগাছার খেলোয়াড়রা। পাশাপাশি কাউন্টার অ্যাটাক করেছে। বিপরীত ধারায় ছিলো সদর উপজেলার খেলোয়াড়রা। তারা প্রথমার্ধের পুরোটা সময় জুড়েই মান্নাফ রাব্বি, স্বাধীন, ফরেনার দাওদা, জাহিদ, শেখ কামারা কখনও একক প্রচেষ্টায় আবার কখনও দলীয় প্রচেষ্টায় আক্রমনে গেছেন। ফলে আক্রমনের ধারটা বেশিই ছিলো যশোর সদরের। গোলের সুযোগও তৈরি করেছিলো। কিন্তু চৌগাছার রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষক ছিলো অত্যান্ত তৎপর। যার ফলে গোল আদায় করতে প্রচন্ড ঘাম ঝরাতে হয়েছে সদরের খেলোয়াড়দের।ম্যাচের ৬১ মিনিটে ডানপ্রান্তের কর্নার ফ্লাগ থেকে প্রায় ১০ গজ দুর থেকে ফ্রি কিক পায় সদর। মান্নাফ রাব্বির দারুণ ফ্রি কিক থেকে ছোট ডি বক্সের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা জুলু শুণ্যের উপর উঠে দারুণ হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন। তার করা এই একমাত্র গোলটিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের জয় পরাজয় নির্ধারণী গোল হিসেবে নির্ধারণ হয়ে থাকে।
খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হুসাইন শওকত, এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগে উপপরিচালক রফিকুল হাসান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা এসএম শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন সরকার, টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক মাহাতাব নাসির পলাশ প্রমুখ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।