1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শামুক নিধনে পরিবেশের ভারসাম্য বিপর্যয়ের আশংকা - Khulnar Khobor
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
পিকআপভর্তি আসবাবের ভেতর মিলল ৪৫ কেজি গাঁজা যশোরে আটক দুইজন নওগাঁয় ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা” প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ‎ দিঘলিয়ায় তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভিনন্দন মিছিল পাইকগাছায় শিক্ষক বদিউজ্জামানের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাগেরহাটের তিন আসনে মনোনয়ন ফরম কিনলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ এইচ সেলিম। খুলনার সোনাডাঙায় মুক্তা হাউজে এনসিপি নেতাকে গুলি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশ্যে নৌবাহিনীর সদস্যদের ঢাকা ত্যাগ যশোরে ইজিবাইকে ওঠাই কাল হলো ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু খুলনা-৪ আসনে মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন এর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ বাগেরহাটের চার আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত দিঘলিয়ায় মায়ের কাছ থেকে সুকৌশলে জমি লিখে নিয়ে বাড়ি থেকে বের যশোরের সাবেক কাউন্সিলার আলোচিত টাক মিলন ঢাকা থেকে আটক লাখো মানুষের অংশগ্রহণে ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত দৈনিক সংগ্রামের খুলনা বিভাগীয় সংবাদদাতা সম্মেলন দিঘলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতির ইন্তেকালে শোক ডুমুরিয়ায় ব্যানার,ফেস্টুন,তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান পাইকগাছায় ধানের শীষের প্রার্থী বাপ্পী’কে বিজয়ের লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মতবিনিময় সভা  নৌবাহিনীর অভিযানে টেকনাফে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার সাংবাদিক ও পুলিশ একে অপরের পরিপূরক: অফিসার ইনচার্জ মোল্লাহাট বাগেরহাট – ৩ সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম, নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস।

শামুক নিধনে পরিবেশের ভারসাম্য বিপর্যয়ের আশংকা

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৩০ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর।।যশোরের কেশবপুর ও আশপাশ এলাকা থেকে অবাধে কৃষকের অগোচরে বন্ধুর ভূমিকা পালনকারী প্রাকৃতিক পানি শোধন ফিল্টার নামক প্রাণি শামুক নিধন করা হচ্ছে। এর ফলে মৎস্য ও কৃষি বিভাগও এখন হয়ে পড়েছে চিন্তিত। দাবি উঠেছে এখনি শামুক নিধনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এলাকা থেকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে পড়বে।

ভবদহ অঞ্চলের কেশবপুর উপজেলায় ৫৫ হাজার ৮৬৭বিঘাতে ৪ হাজার ৬৫৮টি ঘের ও ৫ হাজার ৮৮৭ বিঘায় ৬ হাজার ৯৯৫টি পুকুর ও দিঘী রয়েছে। মনিরামপুর উপজেলায় রয়েছে ৬৮ হাজার ৬১০ বিঘায় ৪ হাজার ৮৮৯টি ঘের ও ৩৪ হাজার ২৩৭ বিঘায় আছে ১১ হাজার ৬৪৩টি পুকুর ও দিঘী এবং অভয়নগর উপজেলায় রয়েছে ৩৪ হাজার ৪২৫ বিঘা জমিতে ১ হাজার ২০৫টি ঘের ও ২৫ হাজার ৮৯০ বিঘায় ৪ হাজার ৮১০টি পুকুর ও দিঘী। এ ছাড়াও তিনটি উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য উন্মুক্ত জলাবদ্ধ বিল যা ঘের হিসেবে ব্যবহার করা হয় না।

এলাকার দরিদ্র নারী পুরুষ ও শিশুরা এ সব ঘের, পুকুর, দিঘী ও উন্মুক্ত জলাবদ্ধ বিল থেকে শামুক সংগ্রহ করে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ৭থেকে ৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে থাকে। ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে পাইকাররা ভ্যান, সাইকেল, দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বসে থাকে। সকাল থেকেই ওই সব পয়েন্টে গিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুরা শামুক-ঝিনুক বিক্রি করে থাকে।
এ সব পাইকারি ব্যবসায়ীরা শামুক-ঝিনুক থেকে মাংস বের করে ঘের মালিকদের কাছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন। আবার শামুক ঝিনুকের খোলা বস্তা প্রতি ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছে চুন তৈরির কারখানায়। মূলত ঘের ও চুন কারখানার মালিকরাই অস্বচ্ছল পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুদের উদ্বুদ্ধ করে শামুক-ঝিনুক ধরতে। চুন কারখানার মালিকরা পাইকারদের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখে শামুক-ঝিনুক কেনার জন্য।

মনিরামপুরের গোপালপুরে ২টি ও চেচুড়িয়ায় ১টি মোট ৩টি বড় ধরণের চুন তৈরির কারখানা রয়েছে।
উপজেলার আড়য়া গ্রামের ফতেমা বেগম জানান, তার পরিবারের ৩-৪ জন বিল খুকখিয়াসহ অন্যান্য জলাবদ্ধ বিল পুকুর ও দিঘী থেকে শামুক-ঝিনুক এনে ৭ থেকে ৮ টাকা কেজিতে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকি। প্রতিদিন এক থেকে দেড় মন শামুক-ঝিনুক তারা সংগ্রহ করে। সাগরদত্তকাটি গ্রামের শামুক ব্যবসায়ী জয়দেব বলেন, জলাবদ্ধ বিল এলাকা থেকে শামুক কিনে কপালিয়া এলাকার মাছের ঘের মালিকদের নিকট বিক্রি করে থাকি। এতে তাদের প্রতি কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকে।

চুন তৈরির কারখানার মালিক সমিরন দাস জানান, তার কারখানায় যে চুন তৈরি হয় তার তিন ভাগের দুই ভাগ চুন ঘের মালিকদের কাছে ৫০ কেজি বস্তা প্রতি ১ হাজার ৯০০ শত টাকায় বিক্রি করে থাকে। আর এক ভাগ চুন পান ও অন্যান্য কাজে ব্যবহারে বিক্রি করে দেয়। সে আরো জানান, শামুক-ঝিনুক কেনার জন্য পাইকারদের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়েও রাখেন। ঘের মালিক আকবর হোসেন ও মোস্তাক হোসেন জানান, ঘেরের মাছ মোটাতাজা করা ও খাদ্য হিসেবে তারা শামুক-ঝিনুকের মাংস কিনে ঘেরে দেয়। এলাকা থেকে অবাদে শামুক নিধন হওয়ায় সচেতন মহল মৎস্য ও কৃষি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট শামুক নিধনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শামুক মারা গেলে মাংস পঁচে ও খোলায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশ জাতীয় বস্তু মাটিতে তৈরি হয়। এর ফলে যে ক্ষেতে বেশি শামুক থাকে সেখানে ফসল ভাল উৎপাদন হয়। শামুকের কারণে ক্ষেতের উর্বরতা শক্তি বাড়ে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বাস বলেন, শামুকের শরীরে রয়েছে প্রাকৃতিক জল শোধন ব্যবস্থা (ফিল্টার)। এরা ময়লা যুক্ত পানি পান করে ময়লা খাদ্য হিসেবে ভেতরে রেখে যে পানিটা বাইরে ছেড়ে দেয় সেটা বিশুদ্ধ। শামুকের বিশুদ্ধ পানির কারণে বিলে কই, শোল, শিং ও কার্প জাতীয় মাছ শামুক ও শামুকের ডিম খেয়ে বেঁচে থাকে। জলাবদ্ধ বিল থেকে শামুক কমে গেলে পানি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পানির রং পরিবর্তন হয়ে রোগ জীবাণু বেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালে ১০ জুলাই প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপনে শামুককে বন্য প্রাণি হিসেবে গণ্য করা হয়।

সে হিসেবে অবৈধ ভাবে শামুক ধরা ও বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিষয়টি তিনি উপজেলা সমন্বয় সভায় উত্থাপন করে প্রতিকারের দাবি করবেন। শামুক কৃষকের অগোচরে ক্ষেত খামারে বন্ধুর ভূমিকা পালন করে থাকে জানান তিনি। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, শামুক-ঝিনুক প্রকৃতির খাদ্য শৃঙ্খলার সাথে ওৎপ্রতভাবে জড়িত।

কেউ শামুক ঝিনুক ধরে মাছ বা অন্য কোন প্রাণির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা শামুক-ঝিনুক ধরে পরিবেশ নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ মৎস্য আইনে নেই। এ কারণে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।