মোঃ জসিম উদ্দিন তুহিন,যশোর জেলা প্রতিনিধি।।যশোরে যুবদল নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক ওসিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। ঘটনার ১৭ বছর পর মামলাটি করেছেন শার্শা উপজেলা যুবদলের তৎকালীন দপ্তর সম্পাদক, ইউপি সদস্য এবং বর্তমান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টু।
আসামিরা হলেন, সাবেক শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর উদ্দিন তোতা, শার্শা উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, শার্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, তৎকালীন শার্শা থানার ওসি এস. এম. বদরুল আলম, সাবেক এসআই আব্দুস সালাম, এসআই রকিবুজ্জামান, এসআই ইকবাল আহমেদ, এএসআই আজাদ হাওলাদার, কনস্টেবল সুলতান আলম, রিয়াজুল ইসলাম, এরশাদুল হক ও আবুল কালাম।মামলার অভিযোগ, মিন্টু যশোরের শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছি গ্রামের বাসিন্দা। ২০০৮ সালের ১৬ জুন রাত ৮টার দিকে শ্যামলাগাছি গ্রামে চাচা আব্দুল মালেকের বাড়ি থেকে তৎকালীন শার্শা থানার এসআই আব্দুস সালাম, এসআই রকিবুজ্জামান, এসআই ইকবাল আহমেদ, এবং তৎকালীন যশোর শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কবীর উদ্দিন তোতা, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম তাকে থানায় নিয়ে যান। থানায় নেওয়ার পরপরই তার হাত-পা বেঁধে আসামিরা মারধর শুরু করেন।
মারধরের একপর্যায়ে ওসি এস. এম. বদরুল ইলম ও রকিবুজ্জামান তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে’ বলে হুমকি দেওয়া হয়। ওই সময় স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আনার জন্য তাকে বেদম মারধর করা হয়। এরই মধ্যে ওসি তার দুই চোখ বেঁধে, দুই হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেন এবং পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত পানির বোতল, রুল ও আগ্নেয়াস্ত্রের কাঠের বাট দিয়ে বেদম প্রহার করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, খবর পেয়ে বাদীর চাচাতো ভাই আব্দুস সালাম ৫ লাখ টাকা এনে ওসিকে দেন।
কিন্তু বাকি টাকার জন্য তাকে ছেড়ে না দিয়ে আওয়ামী লীগের ওই তিন নেতার সরবরাহকৃত একটি শাটার গান ও দুই রাউন্ড রাইফেলের গুলি দিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়। এই মারধরের কারণে তাকে দেশের ভেতরে ছাড়াও ভারতে চিকিৎসা নিতে হয়। সন্তানের এই অবস্থায় তার মা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
দীর্ঘদিন চিকিৎসা, এলাকা ছাড়া জীবন ও দেশের পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।