খান আরিফুজ্জামান(নয়ন),ডুমুরিয়া(খুলনা),প্রতিনিধি।।বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্প দেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম প্রধান খাত। অথচ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চিংড়িতে জেলি বা অন্যান্য পদার্থ পুশ করে কৃত্রিমভাবে ওজন বৃদ্ধি করছে। এতে যেমন ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন, তেমনি দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের সুনামও প্রশ্নের মুখে পড়ছে। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা।
সোমবার(৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খুলনার ডুমুরিয়ায় এমনই এক যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। “মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ১৯৯৭ (সংশোধিত ২০০৮)” অনুযায়ী পরিচালিত এ অভিযানে অংশ নেয় এফআইকিউসি, খুলনা এবং ডুমুরিয়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়।
ডুমুরিয়া, খর্নিয়া, শোলগাতিয়া ও চুকনগর বাজারে একযোগে অভিযান চালানো হয়। নেতৃত্ব দেন এফআইকিউসি খুলনার সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবুল হাসান এবং ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান।
অভিযানে খর্নিয়া বাজারের মেসার্স মোল্লা ফিসকে লাইসেন্স ছাড়া এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডিপো পরিচালনার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চুকনগর বাজারের মেসার্স মডেল ফিস থেকে পুশকৃত চিংড়ি জব্দ করা হয়। সেখান থেকে প্রায় ৪০ কেজি পুশকৃত চিংড়ি ও ৫ কেজি জেলি জব্দ করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত চিংড়ি ও জেলি বিনষ্ট করা হয়েছে।
অভিযানের সময় ডুমুরিয়া বাজারের মেসার্স তমা ফিস, মেসার্স মোল্লা ফিস এবং রুদাঘরা ইউনিয়নের শোলগাতিয়া মৎস্য আড়তও পরিদর্শন করা হয়। তবে এসব ডিপো ও আড়তে কোনো ধরনের পুশকৃত চিংড়ি পাওয়া যায়নি।
অভিযানে এফআইকিউসি খুলনার ইন্সপেক্টর মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী কেএম মহসিন আলম, অফিস সহকারী মোঃ সাইফুল্লাহসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।চিংড়ি বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য। কিন্তু পুশকৃত চিংড়ির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং আমদানি নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি বাড়ছে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই বাস্তবতায় সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান জানান, পুশকৃত চিংড়ি শুধু প্রতারণাই নয়, এটি মানবস্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। তাই এ ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে। একই সঙ্গে ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে।এ ধরনের অভিযান অন্যান্য উপজেলায় আরও জোরদার হলে চিংড়ি শিল্পে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।