1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
দাকোপে আওয়ামী ইউপি চেয়ারম্যান জালালের অপসারণ দাবি - Khulnar Khobor
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
শহিদ হাদির জানাজার সময় পরিবর্তন হয়ে বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যডভোকেট আজমল হোসেন বাচ্চুর পক্ষে মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠান নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে উদ্বোধন হলো স্প্রিং-২০২৬ এর এ্যাডমিশন ফেয়ার পাইকগাছায় ধানের শীষের প্রার্থী বাপ্পী’কে বিজয়ের লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মতবিনিময় সভা  ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ ও গায়েবানা জানাজা খুলনার আড়ংঘাটায় সাংবাদিক কে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। কেশবপুরে কালব’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় নারীদের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত দিঘলিয়ায় নাশকতা মামলায় যুবলীগ নেতা আটক নওগাঁর মান্দায় এক রাতে তিন দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি নিরব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কয়রায় আদালতের রায়ে জিম্মায় দেয়া ধান কেটে নিল মামলার বাদী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝুমঝুমপুর এলাকায় যুবকের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার নওগাঁর মান্দায় রাস্তার কার্পেটিং কাজে অনিয়মের অভিযোগ। যথাযোগ্য মর্যাদায় নৌ অঞ্চলসমূহে মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদ্‌যাপিত কেশবপুরে মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন খুলনা মহানগরী জামায়াতের যুব বিভাগের বিজয় র‌্যালি আরডিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বিজয় দিবস উদযাপন স্বাধীনতা রক্ষার লড়াইয়ে ঐক্য অপরিহার্য-হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল

দাকোপে আওয়ামী ইউপি চেয়ারম্যান জালালের অপসারণ দাবি

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৭৯ বার শেয়ার হয়েছে

খুলনার খবর।।খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন গাজীর অপসারণ দাবি করেছেন স্থানীয়রা। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) খুলনা জেলা প্রশাসক এবং রবিবার (৭ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করে আবেদন করেছেন ৭নং তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ।

লিখিত আবেদনে তারা বলেন, জনসাধারণ দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে আর্জিত ২৪শের নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোষর তিলডাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন গাজী মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন করে নিজেদের চেয়ার টিকিয়ে রেখেছে। আওয়ামী স্টাইলে দিনের ভোট রাতে করে একাধিকবার চেয়ারম্যানের চেয়ার দখল শুধুই নয় সিলেকশন প্যানেল চেয়ারম্যানসহ পরিবারের একাধিক সদস্যকে মেম্বারের চেয়ারে বসিয়ে ইউনিয়ন পরিষদকে পরিবার পরিষদ তৈরি করেছে। দীর্ঘ ১৭ বছরে তিনি ও তার পরিবার গড়ে তুলেছেন এক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট, যার শিকড়ে মিশে আছে রাজনীতি, অর্থ এবং ভয়ভীতি। বিগত দিনে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে রাজনৈতিক মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি নিজস্ব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত ভাবে ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নিন্ম মানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে একাধিকবার জনসাধারণের কাছে অবরুদ্ধ হয়েছেন। এমন কি চলমান উন্নয়ন কাজ বন্ধ করতেও বাধ্য হোন। পরবর্তীতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে পুনরায় কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছে। এ সকল কাজ তার ছেলে দাকোপ উপজেলা যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম করে আসছেন।

তিনি বয়স্ক ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ সহ সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা সব দলীয় পরিচয় দেখে বন্টন করছে। তার সিন্ডিকেট সদস্যের মধ্যে আওয়ামী পদধারী নিবোদ গাইনের ছেলে মকুল গাইন, দিনোবন্দ মন্ডলের ছেলে ইন্দ্র কিশোর মন্ডল, সুবোধ মিস্ত্রীর ছেলে সুশিল মিস্ত্রীসহ কয়েকজনের রয়েছে। এই সিন্ডিকেট গ্রুপের কাছে ইউনিয়নের জনসাধারণকে জিম্মি করে রেখেছে। জালাল উদ্দীনের দাপটে এক প্রকার তাহার হাতে জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন ইউনিয়নবাসী। জালাল উদ্দীনকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৭ বছরে জালাল উদ্দীন ও তার পরিবার গড়ে তুলেছেন এক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট—যার শিকড়ে মিশে আছে রাজনীতি, অর্থ এবং ভয়ভীতি। এলাকাবাসীর একাংশ দাবি করছে, এই পরিবার এখনো টিকে আছে ‘রাতের ভোটের’ ফল হিসেবে, এবং তারা নয়া বাংলাদেশে পুরনো শাসনের প্রতিচ্ছবি বহন করছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ নতুন কিছু নয়।

২০১০ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধশত বিঘা জমি জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ এবং পরে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান গাজীর বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনো ফিরতে পারেনি নিজ ভিটেমাটিতে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা প্রকাশের দাবী জানান। গুঞ্জন উঠেছে পাইকগাছার জহুরুল হক সরদারের ওয়ারেশকে ফাঁকি দিয়ে বিশাল এলাকা গড়ে তুলেছেন। জমি এখন জালালাবাদ নামে পরিচিত একটি এলাকা। যেখানে নিয়মের তোয়াক্কা না করে সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে ইউনিয়নবাসী পরিষদে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীনকে অবরুদ্ধ করে রাখে পরিষদে।

চেয়ারম্যান গাজীর নিজস্ব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিতভাবে ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পেয়ে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব কাজের বেশিরভাগই নিয়েছেন নিজের ছেলে যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের নামে। কাজের কমিশন পৌঁছাত শেখ পরিবারের নির্দিষ্ট ঠিকানায়—এমনটাই দাবি করেছেন একাধিক স্থানীয় ঠিকাদার।

জানা গেছে, সাবেক ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এমপি ননী গোপালের অর্থদাতা এবং ‘অঘোষিত পরামর্শক’ ছিলেন জালাল গাজী। শেখ পরিবারের ছত্রছায়ায় তার চেয়ারম্যান হওয়াও ছিল অনেকে ‘নির্ধারিত’ বলেই মনে করেন। যদিও এই অভিযোগের পক্ষে এখনো কোনো লিখিত প্রমাণ সামনে আসেনি। তবে সোস্যাল মিডিয়ায় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে ছবি পোস্ট করে নিজেদের অবস্থান জানান দিতেন। যে সকল ছবি এলাকার জনসাধারণ কাছে প্রমাণ স্বরূপ রয়েছে।

এ বিষয়ে জালাল উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি কখনো আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। থাকলে তো বাড়ি ঘরে থাকতে পারতাম না। ৫ আগস্টের পর গাঁ ঢাকা দিতাম। এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখেন আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ঠিক না। তবে সম্প্রতি কিছু উশৃংখল লোকজন পরিষদে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তা তাৎক্ষণিক মেম্বারদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।