খুলনা ব্যুরো প্রধান।।খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় উন্নয়ন কার্যক্রমে এক নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে। আর এই পরিবর্তনের নেপথ্যে রয়েছেন উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ জামাল হুসাইন। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি নিজের সততা, কর্মদক্ষতা ও নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে দিঘলিয়া উপজেলার উন্নয়ন অঙ্গনে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা এখন স্থানীয়ভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দৃশ্যমান পরিবর্তন
দিঘলিয়া উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই পিআইও মোহাম্মদ জামাল হুসাইন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেন। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে চলমান বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প—গ্রামীণ সড়ক, অবকাঠামো সংস্কার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও কর্মসৃজনমূলক প্রকল্প—সব ক্ষেত্রেই তিনি সরাসরি মাঠে নেমে তদারকি নিশ্চিত করছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, আগে অনেক প্রকল্প কেবল কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে প্রতিটি কাজ বাস্তবসম্মতভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। কাজের মান, সময়সীমা এবং ব্যয়—এই তিনটি বিষয়েই পিআইও জামাল হুসাইন কঠোর নজরদারি রাখছেন।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে তদারকি
দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পিআইও জামাল হুসাইন প্রায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে ছুটে বেড়ান।
কখনো ইউনিয়ন পরিষদ, কখনো ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রকল্প এলাকা—সবখানেই তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।এক ইউপি সদস্য বলেন,আমরা প্রথমে ভাবিনি যে একজন পিআইও এতটা সক্রিয়ভাবে মাঠে কাজ করবেন। কিন্তু জামাল স্যার নিজে উপস্থিত থেকে প্রতিটি কাজ পরিদর্শন করেন, ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন এবং গুণগত মান নিশ্চিত না হলে কোনো ছাড় দেন না।”
গুণগত মান ও স্বচ্ছতার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব
পিআইও মোহাম্মদ জামাল হুসাইনের সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো—তিনি কাজের গুণগত মানের সঙ্গে কোনো আপস করেন না। স্থানীয়রা জানান, নিম্নমানের কাজ বা অনিয়মের অভিযোগ উঠলেই তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।তার কঠোর অবস্থানের ফলে ঠিকাদারদের মধ্যেও এক ধরনের শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।
উন্নয়ন কাজ এখন আর দায়সারা ভাবে নয়, বরং নির্ধারিত মানদণ্ড অনুসরণ করেই সম্পন্ন হচ্ছে। এতে করে সরকারি অর্থের অপচয় কমেছে এবং সাধারণ মানুষ টেকসই উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে।জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক শুধু প্রশাসনিক দক্ষতাই নয়, পিআইও মোহাম্মদ জামাল হুসাইনের ব্যক্তিগত আচার-আচরণও প্রশংসার দাবিদার। জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার আচরণ অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী ও সহানুভূতিশীল।একাধিক ইউপি সদস্য জানান,
“জামাল স্যার সবার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। কোনো সমস্যার কথা বললে তিনি গুরুত্বসহকারে তা বিবেচনা করেন এবং যৌক্তিক সমাধানের চেষ্টা করেন।
তার ব্যবহার আমাদের সঙ্গে কাজ করাকে আরও সহজ করে তুলেছে।”
উন্নয়ন কাজে ফিরেছে মানুষের আস্থা
দিঘলিয়া উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যেও এখন উন্নয়ন কাজ নিয়ে নতুন করে আস্থা তৈরি হয়েছে। রাস্তা সংস্কার, অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হওয়ায় মানুষ মনে করছেন—সরকারি সেবা সত্যিকার অর্থেই তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছাচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, একজন সৎ ও দায়িত্বশীল প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কারণে উন্নয়ন কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হওয়ায় দুর্নীতি ও অবহেলার সুযোগ অনেকটাই কমে এসেছে।
সুশাসনের এক উজ্জ্বল উদাহরণ
বর্তমান সময়ে যখন সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে, তখন দিঘলিয়া উপজেলার পিআইও মোহাম্মদ জামাল হুসাইন সুশাসনের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে সামনে এসেছেন।
তার সততা ও পেশাদারিত্ব শুধু প্রশাসনের ভেতরেই নয়, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের মাঝেও ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।
ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা দিঘলিয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহলের প্রত্যাশা—পিআইও মোহাম্মদ জামাল হুসাইন তার এই কর্মস্পৃহা ও সততার ধারা অব্যাহত রাখবেন। তার নেতৃত্ব ও তদারকিতে উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং দিঘলিয়া একটি আদর্শ উন্নয়নবান্ধব উপজেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে—এমনটাই আশা সবার।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।