 
							
							 
                    অদিতি সাহা,খুলনার খবর।।১ নভেম্বর খুলনার নতুন কারাগারে বন্দি স্থানান্তর
১০০ বন্দি দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে খুলনা কারাগারের বন্দি স্থানান্তর কার্যক্রম। পরে বাকি বন্দিদের নতুন কারাগারে নেওয়া হবে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) খুলনা কারাগারের জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘কারাগারে কিছু কাজ বাকি রয়েছে। কাজ বাস্তবায়ন চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে বন্দি স্থানান্তর শুরু করা হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুরাতন কারাগার মেট্রোপলিটন কারাগার হিসেবে ব্যবহার হবে।’
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয় ২০১১ সালে। ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। এরপর ৮ বার প্রকল্পের সময় বেড়েছে এবং দুই দফা সংশোধনের পর ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২৮৮ কোটি টাকা। খুলনার সিটি (রূপসা সেতু) বাইপাস সড়কে প্রায় ৩০ একর জমির ওপর নতুন কারাগার নির্মাণ হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী নতুন কারাগারে ৪ হাজার বন্দি থাকতে পারবে।
আরও জানা যায়, নতুন কারাগারে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের পৃথক স্থানে রাখা হবে। কিশোর ও কিশোরী বন্দিদের জন্য রয়েছে পৃথক ব্যারাক। নারীদের জন্য আছে পৃথক হাসপাতাল, মোটিভেশন সেন্টার ও ওয়ার্কশেড। বন্দিদের জন্য ৫০ শয্যার হাসপাতালও থাকবে। কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য স্কুল, বিশাল লাইব্রেরি, ডাইনিং রুম, আধুনিক সেলুন ও লন্ড্রি। কারাগারে শিশুসন্তানসহ নারী বন্দিদের জন্য থাকবে পৃথক ওয়ার্ড ও ডে-কেয়ার সেন্টার। এ ওয়ার্ডটিতে সাধারণ নারী বন্দি থাকতে পারবেন না।
খুলনা কারা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে খুলনার কারাগারে প্রায় ১৪০০ বন্দি রয়েছেন। এরমধ্যে থেকে প্রথম ধাপে ১০০ বন্দিকে নতুন আধুনিক কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। ভবিষ্যতে নতুন কারাগারটি জেলার কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে গণ্য হবে এবং বর্তমান জেলখানা ঘাট এলাকায় থাকা কারাগারটি মেট্রোপলিটন কারাগার হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। নতুন কারাগারে কারাগারে ৫৭ টি স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। বন্দিদের প্রতিটি ব্যারাকের চারপাশে পৃথক সীমানা প্রাচীর রয়েছে। এক শ্রেণির বন্দিদের অন্য শ্রেণির বন্দিদের সঙ্গে মেশার কোন সুযোগ নেই। ভেতরে শুধু প্রাচীরই রয়েছে প্রায় ৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া ড্রেন, ফুটপাত, পয়োবর্জ্য শোধনকেন্দ্র, ওয়াকওয়ে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা, দুটি পুকুর ও সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে মাটি ভরাটকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এছাড়াও কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে।
খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন কারাগারের ভেতরে মোট ৫৭টি স্থাপনা রয়েছে । বন্দিদের রাখার জন্য ভবন রয়েছে ১১টি। কারাগারের সব স্থাপনা কারা কর্তৃপক্ষ বুঝে নিয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।