 
							
							 
                    ফরিদপুর (আলফাডাঙ্গা) প্রতিনিধি।।ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিকতার আড়ালে একদল স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর ‘ব্যবসা’ ফাঁস হয়েছে। বহিষ্কৃত দুই সদস্য শাহীনুর রহমান শাহিন ও মামুনুর রশীদকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গাকে ঘিরে নেমেছে নতুন বিতর্ক। অভিযোগ—তাদের পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী মহলের অশরীরী ছায়া, আর সেই কারণেই দাপটের সঙ্গে ভুয়া কমিটি চালিয়ে সরকারি দপ্তরে যাতায়াত অব্যাহত রেখেছে তারা।নাম-ভাঙানো সাংবাদিকতা
জিডি সূত্রে জানা যায়, কোনো পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত না থেকেও নিজেদের সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন শাহিন ও মামুন। অভিযোগ উঠেছে, এই পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে অনৈতিক উপায়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। এ কারণে গত ১৫ মে ২০২৫ তাঁদের কাছে ডাকযোগে (এডি) কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তারা কোনো জবাব না দিলে ১২ জুন ২০২৫ ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁদের বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারের পরও নতুন খেলা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। বহিষ্কারের পর তারা হঠাৎ করে নিজেরাই প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গার নামে ভুয়া কমিটি ঘোষণা করেন। নিজেদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে সরকারি দপ্তরে হাজির হন নানা দাবি-দাওয়ায়। চাঞ্চল্যের বিষয় হলো—তাদের কমিটিতে যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, তারা কেউই এ বিষয়ে জানতেন না। ফলে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
প্রতিবাদ ঠেকাতে ভয়েসে হুমকি এই প্রতিবাদের জের ধরেই গত ১১ আগস্ট প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ফেরদৌস খানকে মেসেঞ্জারে ভয়েস পাঠিয়ে হুমকি দেন বহিষ্কৃত সদস্য শাহীনুর রহমান শাহিন। হুমকি ছড়িয়েই থেমে থাকেননি, ভুয়া কমিটির পক্ষে একাধিক পোস্টও দিয়েছেন। এতে পুরো প্রেসক্লাবের ভেতরে আতঙ্ক তৈরি হয়।
কারা দিচ্ছে আশ্রয়? স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এরা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকায় প্রশাসন নীরব। প্রশ্ন উঠছে—কোন দপ্তরে কীভাবে তাদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে? সূত্র বলছে, কিছু সরকারি অফিসে প্রবেশাধিকার পেতে তারা ভুয়া কমিটির ব্যানার ব্যবহার করছে। কারও কারও গোপন সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব নয়।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সাংবাদিক বলেন, “তাদের এমন দৌরাত্ম্যের পেছনে প্রশাসনের ভেতরের কেউ না কেউ জড়িত না থাকলে এটা সম্ভব না। চোখ বন্ধ করে রাখলেই হবে না, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
পুলিশের বক্তব্য এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক ও জিডির তদন্ত কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন বলেন, “আমরা জিডি এন্ট্রি করেছি। তদন্তের অনুমতি চেয়ে আগামী রোববার আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।