1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বাংলাদেশে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে- গবেষণা অনুযায়ী, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় একটি গোপন ফল্ট রয়েছে - Khulnar Khobor
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
যশোরে ভয়াবহ ছুরিকাঘাতে বড় ভাই জখম দ্রুত ঢাকায় স্থানান্তর বাংলাদেশে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে- গবেষণা অনুযায়ী, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় একটি গোপন ফল্ট রয়েছে ভূমিকম্প যেতে না যেতেই চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় খুলনা মহানগর যুব অধিকার পরিষদের আংশিক কমিটি এক বছরের জন্য অনুমোদন তেরখাদার চিত্রা মহিলা ডিগ্রী কলেজে কৃতি শিক্ষার্থী ও নবীন ছাত্রীদের সংবর্ধনা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ছাত্র গণজমায়েতে-মিয়া গোলাম পরওয়ার দি খ্রীষ্টিয়ান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড, খুলনার ২৭ তম বার্ষিক সাধারণ সভা গাবুরা গাইনবাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নির্যাতন ও হুজুরকে জড়িয়ে চক্রান্তের অভিযোগে মানববন্ধন কেশবপুরে “ধানের শীষ”-এর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু মোল্লাহাটে এমপি মনোনীত প্রার্থী মোল্লা মজিবর রহমান শামীমের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক মতবিনিময় সভা যশোরের কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিন্টুর আর নাই মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করলেন – মোঃ জুলফিকার আলী যথাযোগ্য মর্যাদায় নৌঅঞ্চলসমূহে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৫ উদ্‌যাপন তেরখাদার ৫ নং ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত দিঘলিয়ায় বিএনপি–জাপা থেকে অর্ধশতাধিক কর্মীর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান। ডুমুরিয়ার আন্দুলিয়া ফুটবল মাঠে ছাত্র গণজমায়েতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে নৌবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও নৌ সদস্যদের শান্তিকালীন পদক প্রদান যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প বটিয়াঘাটা হেতালবুনিয়া খাল সংস্কার কচুরিপানা অপসারণে উপসচিব জিয়াউর রহমান

বাংলাদেশে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে- গবেষণা অনুযায়ী, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় একটি গোপন ফল্ট রয়েছে

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৬ বার শেয়ার হয়েছে

আরিফুল ইসলাম রিয়াজ।।গত শুক্রবার ৫.৭ এবং শনিবার ৩.৩ মাত্রার দুদিনে চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর চেয়েও বড় কথা হলো, এক সপ্তাহের মধ্যে আরো ২০ বার এমনটি হতে পারে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । ধীরে ধীরে ভূমিকম্পের মাত্রা বাড়তেও পারে।এখনো সবকিছু বলার সময় হয়নি। আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। এ কয়েক দিনের মধ্যে যদি ৫ দশমিক ৭ মাত্রার চেয়েও বড় কোনো ভূমিকম্প হয়; তাহলে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভয়াবহ দুর্যোগ হতে পারে।

খুলে যাচ্ছে ফল্ট লাইনের প্লেট উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে দেশ। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা অনুযায়ী, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় একটি গোপন ফল্ট রয়েছে, যা বাংলাদেশে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত, ইউরেশিয়া ও বার্মা মোট তিনটি দৈত্যাকৃতির টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশ।প্লেটগুলো এখন আটকানো অবস্থা থেকে খুলে যাচ্ছে। ফলে যেকোনো সময় আরো উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে পড়তে পারে বাংলাদেশ।

এ প্রসঙ্গে গতকাল শনিবার ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদি আহমেদ আনসারী আমার দেশকে বলেন, দুদিনে চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।এর চেয়েও বড় কথা হলো, এক সপ্তাহের মধ্যে আরো ২০ বার এমনটি হতে পারে। ধীরে ধীরে ভূমিকম্পের মাত্রা বাড়তেও পারে। এখনো সবকিছু বলার সময় হয়নি। আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।

এ কয়েক দিনের মধ্যে যদি ৫ দশমিক ৭ মাত্রার চেয়েও বড় কোনো ভূমিকম্প হয়; তাহলে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভয়াবহ দুর্যোগ হতে পারে।তিনি এ বিষয়ে আরো বলেন , ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে বিভিন্ন এলাকার কথা বলা হলেও সেটা সঠিক নয়। মূলত সবগুলোর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতেই।

জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নেওয়া ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের রুবাইয়াত কবির বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে রয়েছে।যা অনেক আগে থেকেই উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। ভারত, ইউরেশিয়া ও বার্মা মোট তিনটি দৈত্যাকৃতির টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশ।

এখন ভারতীয় প্লেট যদি উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে ইউরেশীয় প্লেটের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায়, তাহলে পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে মারাত্মক ভূমিকম্প ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশ।এদিকে দুদিনের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশালের বিভিন্ন এলাকার মাটিতে সৃষ্ট ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ।

এ বিষয়ে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন বলেন, ‘বাংলাদেশে অসংখ্য ফল্ট রয়েছে। কিন্তু সেসব ফল্ট নিয়ে ভূতাত্ত্বিকরা খুব একটা চিন্তিত নন। পার্বত্য অঞ্চলে অসংখ্য ভূচ্যুতি আছে। সমতল এলাকাতেও অসংখ্য চ্যুতি রয়েছে। এগুলো তেমন মারাত্মক নয়। বাংলাদেশে সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত দুই প্লেটের সংযোগস্থল। এ অঞ্চলে গত ৮০০ থেকে হাজার বছরের মধ্যে জমে থাকা শক্তিটা বের হয়নি। এ কারণে অঞ্চলটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি আরো বলেন, ‘সাবডাকশন জোন বা দুই প্লেটের সংযোগস্থলে যে ভূমিকম্প হয়, তা খুবই ভয়াবহ। ভূমিকম্পের জন্য পরিচিত রিং অব ফায়ার, যেটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত, সেটিও সাবডাকশন জোনের অন্তর্ভুক্ত। এ অঞ্চলে যে ভূমিকম্পগুলো হয় সেগুলোর বেশিরভাগই ৭ দশমিক ৫-এর ওপর হয়ে থাকে। এগুলো শক্তিমত্তার দিক থেকে সব সময়ই ধ্বংসাত্মক। ফলে এ অঞ্চল নিয়ে চিন্তার বিষয় রয়েছে বলে জানান তিনি।

গতকাল ২২ নভেম্বর শনিবার ভূতত্ত্ব বিভাগের সাত সদস্যের একটি দল এসব এলাকা পরিদর্শন করেন বলে জানিয়েছেন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আ স ম ওবায়দুল্লাহ। এ সময় তারা ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ঘোড়াশাল ডেইরি ফার্ম ও পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ধসেপড়া মাটির নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।

আ স ম ওবায়দুল্লাহ বলেন, সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষানিরীক্ষা করে কী ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে বা কতটুকু গভীরতায় হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘সামনে আরো বড় ভূমিকম্প হতে পারে। আজকের এ ভূমিকম্প সে সতর্কবাণী দিচ্ছে। প্লেট যেটা আটকে ছিল, সেটা আটকানো অবস্থা থেকে খুলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে আরো বড় ভূমিকম্প হবে। যেটা আমরা ২০১৬ সাল থেকে বলে আসছি।

২০১৬ সালে প্রকাশিত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় একটি গোপন ফল্ট রয়েছে, যা বাংলাদেশে ৯ মাত্রার মতো ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। এ প্রতিবেদনে গোপন এ ফল্টকে মেগাথার্স্ট ফল্ট নামে উল্লেখ করে বলা হয়, মাইলের পর মাইল বিস্তৃত পললের নিচে এটি অবস্থিত। দুই প্লেটের সাবডাকশন জোন বা দুই প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত এ মেগাথার্স্ট।

তবে কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত যে ফল্ট লাইন রয়েছে, সেখানকার শক্তি ১৭৬২ সালে বের হয়ে গেছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, সেখানে নতুন করে শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। টেকনাফ থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার জায়গায় যে ফল্ট লাইন রয়েছে সেখানে ৮ দশমিক ৫ মাত্রার বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিল। এর ফলে সেন্টমার্টিন আইল্যান্ড তিন মিটার উপরে উঠে আসে। এর আগে সেন্টমার্টিন আইল্যান্ড ছিল ডুবন্ত দ্বীপ। ওই ভূমিকম্পের কারণে বঙ্গোপসাগরে সুনামি হয় এবং ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়।

এদিকে হিমালয়ের নিচে থাকা টেকটোনিক প্লেটÑটাইমস অব ইন্ডিয়া ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছেÑএমন প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পর ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের কবলে পড়ল বাংলাদেশ। এ আশঙ্কা সত্য হলে, অদূর ভবিষ্যতে আরো তীব্র ভূমিকম্পের কবলে পড়তে পারে এ দেশ।

কারণ তিনটি আলাদা প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় ভূতাত্ত্বিকভাবে জটিল এক অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশের। তবে পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আরো তথ্য ও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।কোথাও কোনো ভূমিকম্প আঘাত হানলে সবার আগে আলোচনায় উঠে আসে টেকটোনিক প্লেট। এটি

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।