মোঃ শরিফুল ইসলাম// খুলনার ফুলতলার উত্তরডিহিতে জবাই করা বিবস্ত্র নারীর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে সোহেল ও রিয়াজ নামে দুজনকে আটক করে র‍্যাব-৬ খুলনা।এবং তারা তাদেরকে জিগ্গাসাবাদের সময় পুরো খুনের ঘটনার বিবরন দেন।এবং কোথায় দেহের বাকি অংশ মাথা সেটা খুঁজতে অভিযান পরিচালনা করেন।

আজ শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টায় ফুলতলা উপজেলার উত্তরডিহি নামক এলাকায় আটক দুজনকে নিয়ে খুলনা র‍্যাব-৬এর একটি আভিযানিক দল নিহত নারীর মাথা উদ্ধার অভিযানে নামে।এবং প্রায় দুই ঘন্টার অভিযানে খুনিরা কোথায় কখন কিভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেটার বিবরন দেন।এবং র‍্যাবের আভিযানিক দলটি ভিকটিমের পরনের কাপড় ও তার মাথা উদ্ধারে সক্ষম হন।পরে সেখানেই একটি প্রেস ব্রিফিং করেন এবং ঘটনার সব কিছু জানান।

র‍্যাব-৬ এর সিইও খন্দকার মোস্তাক আহমেদ জানান,হত্যাকান্ডের তিনদিন আগে কথা হয় নিহতের সাথে দুর্বৃত্তদের।এবং সেই পরিচয়েই গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভিকটিমকে বাইরে ডেকে নিয়ে গনধর্ষন করে।এবং ভিকটিম সবাইকে বলে দেবে এই ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়।তিনি আরো জানান,ঐ দিন রাতে ভিকটিম বার বার প্রান ভিক্ষা চাইলেও আসামিদের মন গলেনি।এমনকি ভিকটিম বলে আমি কাউকে বলবো না।আমার বাবা খুব অসুস্থ আমাকে মেরো না। তবুও তাদের মন গলেনি।দুজনে প্রথমে গলাটিপে হত্যা করার জন্য চেষ্টা করে। তাতে কাজ না হলে ভিকটিমের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।এবং কেউ যেন পরিচয় জানতে না পারে সেজন্য তার মাথা কেটে অনত্র পুঁতে রাখে।

নিহত মুসলিমার বোন জানান,ঘটনার দিন রাতে খাবারের জন্য ভাত মেখে রেখে তাকে ডাকলে সে পরে এসে খাবে বলে জানায়।কিন্তু হতভাগী আর আসেনা।রাতে আশ পাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে।সকালে খোঁজ করার জন্য অপেক্ষা করি।এরই মধ্যে খবর আসে ধান ক্ষেতে বিবস্ত্র একটি নারীর মরদেহ পড়ে আছে।খবর শুনে আমরা গিয়ে লাশ সনাক্ত করি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি খুলনার ফুলতলার উত্তরডিহিতে জবাই করা বিবস্ত্র এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।ওই এলাকার ধান ক্ষেতে মাথাবিহীন ঐ নারীর লাশ পুলিশ পরিচয় সনাক্ত করে তার স্বজনদের কাছে ময়নাতদন্ত শেষে তুলে দেয়।পরদিন ২৭ জানুয়ারি মস্তকবিহীন অবস্থায় তাকে দাফন করা হয়।এবং আসামী ধরতে এবং হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে আর বেশি সময়ও লাগেনা।প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দুজকে আটক করে র‍্যাব-৬ খুলনা।