মোঃ ইমরান,বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রতিনিধি//বটিয়াঘাটা উপজেলার বটিয়াঘাটা গ্রামের কৃষক নিহার রঞ্জন মন্ডল ও তার ছেল সুব্রত মন্ডল তাদের নিজের এক একর জমিতে চুইঝাল, মাল্টা ও দার্জিলিং জাতের কমলার চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
কৃষক নিহার বলেন, ২০১৯ সালে ৩০৮ টি বারি, এক জাতের মাল্টা,২০ টি দার্জিলিং জাতের কমলা, দেশি জাতের ছোট চুই (ওলচুই) প্রায় প্রায় এক হাজারটি চুই ঝালের গাছ লাগিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে চলছে অনলাইন মার্কেটিংয়ের নামে প্রতারণা। এই প্রথম চাষকরে যে পরিমান মাল্টা পেয়েছি এতেই আমারা অনেক খুশি। প্রতিগাছে ১০ কেজি পরিমান মাল্টা তিনি পেয়েছেন।প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে তিনি এবার দ্বিগুণ লাভবান হবেন বলে আশাবাদ করেন। একই সাথে লাগানো চুইঝাল বর্তমানে বিক্রির উপযোগী হয়ে গেছে। চুইঝালের বর্তমান বাজার মুল্য প্রতিকেজি দুই থেকে তিন হাজার টাকা।
বটিয়াঘাটা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণপদ মন্ডল জানান,এই ব্লকের দ্বায়িত্বে তিনি। এই বাগান শুরু থেকে তিনি সকল পরামর্শ ও টেকনিক্যাল সহযোগিতা করেন। যখনই তারা ডাকেন, আমি সেই মুহূর্তে পাশে ছুটে যাই তাদের।আমি সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি তাদের।
সাংবাদিক ইমরান কে কৃষক নিহার রঞ্জন মন্ডলের ছেলে সুব্রত বলেন,তার বাবার সকল কাজের সার্বিক সহযোগিতা করেন তিনি।এই চাষাবাদ করতে তিনি তার পিতাকে প্রথমে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। বাজারে এখন বিষে ভরা সকল ফল। কোনটাই খাবারের উপযুক্ত নয়, সে চেষ্টা করছে বিষ মুক্ত বিভিন্ন ফলের চাষ করতে। তিনি সরকারি সহযোগিতা পেলে বড় করে ফলের চাষ করতে পারতেন।
বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি বিদ মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন,”খুলনার মধ্যে চুই ও মাল্টা, কমলার এত বড় বাগান আর নেই,আমরা বটিয়াঘাটা কৃষি অফিসারগন সব সময় যে কোন পরামর্শ দিয়ে আসছি।”
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।