শরিফুল ইসলাম// খুলনায় গত রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল আনুমানিক ০৮.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম শুভ হাওলাদার(৯),তার খালার বাড়িতে খেলা করার জন্য যায়। সেখান থেকে সে ময়লাপোতা বস্তির দিকে খেলতে যাওয়ার পর যথাসময়ে নিজ বাড়িতে ফেরত না আসায় ভিকটিমের পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে।অতঃপর একই দিন আনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকার সময় সোনাডাঙ্গা আবাসিক ২য় ফেজ, রোড নং-১৪, হোল্ডিং নং-৩৭, এর পিছনে খালি প্লট নং-৩৬ এর হোল্ডিং নং-৩৭ এর সীমানা প্রাচীরের পাশে ঝোপের মধ্যে ভিকটিম এর লাশ স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ঝুমুর বেগম বাদী হয়ে কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
সংঘটিত এই হত্যাকান্ডটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং জনমনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।বহুল আলোচিত এবং চাঞ্চল্যকর হত্যার পর থেকেই র্যাব-৬ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্য গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি চৌসক আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চাঞ্চল্যকর “শুভ হাওলাদার” হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মোঃ জাহিদ সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় আত্নগোপন করে আছে।এমন তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি একই তারিখ রাত ২১.৩০ ঘটিকায় কেএমপি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ময়লাপোতা মেথরপট্টি কমান্ডার গলি থেকে চাঞ্চল্যকর “শুভ হাওলাদার” হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মোঃ জাহিদ(১৮),কে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত আসামী’কে কেএমপি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে শুভ হাওলাদারকে হত্যার বিশ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামী মোঃ সজল ব্যাপারীকে (১৫) গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন মধুপুর গুচ্ছগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামী সজল পার্শ্ববর্তি নদীতে ঝাপ দিলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও নদীতে ঝাপিয়ে আসামীকে ধরতে সক্ষম হন।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, মাদক বিক্রির ঘটনা জেনে যাওয়ায় শুভকে রোববার সকালের যেকোন এক সময়ে নির্মমভাবে খুন করে ওই ফাঁকা মাঠে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা । এ ঘটনার জের ধরে ওই এলাকার মানুষ ফুসে উঠেছে। সোমবার মাগরিবের নামাজের আগ মুহুর্তে এলাকার সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা মাদক ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মাদ, শাহীন ও অমিরুনের ঘর ভাংচুর করে।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক বলেন, হত্যাকান্ডের রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি।তবে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় তিন নম্বর আসামি জাহিদকে রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করে র্যাব। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে থানায় হস্তান্তর করে তারা।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।