শরিফুল ইসলাম // খুলনা মহানগরীর প্রতাপাদিত্য লেনে থামছেই না ভোগান্তি। দিন যতই যাচ্ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভোগান্তিও।দীর্ঘদিন যাবত এই সড়কটিতে বেড়েছে দুর্ঘটনা পাশাপাশি দূর্ভোগও।এলাকাবাসী বহুবার বলা স্বত্তেও কোনো অগ্রগতি নেই এই প্রতাপাদিত্য লেনের ভোগান্তির।
নগরীর হার্ডমেটাল গ্যালারির ঠিক উল্টো পাশের একটি লেনের কথা বলছি।যার নাম প্রতাপাদিত্য লেন।দীর্ঘদিন ধরে এই লেনের বাসিন্দারা চরম দূর্ভোগ দিন কাটাচ্ছে।এই আবাসিক এলাকায় রয়েছে কিছু মিল।যে মিলগুলোর কারনে প্রতি নিয়ত এখানে বড় বড় ট্রাক ঢুকে মিলের মালামাল ওঠানো নামানো করে।যার ফলে ৮ ফুট রাস্তার পুরোটাই দখলে চলে যায় এই মিল মালিকদের।
এই এলাকার স্থানীয়রা দাবি করেছেন, অনেকবার এসব মিলের মালিকদের বলা স্বত্বেও কোন প্রতিকার হয়নি।অদৃশ্য কোন ছায়ায় এরা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়।এমন কি প্রতিবাদ করতে গেলে হামলারও শিকার হয়েছেন অনেক বাড়িওয়ালা।অনেককে নানা ভাবে হুমকিও দেখানো হয়েছে,এ ব্যাপারে কথা না বলার জন্য।এই এলাকায় প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস।তাদের কোমলমতি ছেলে-মেয়েরা এই গলি ব্যবহার করেই স্কুল কলেজে যায়।
মুমুর্ষ কোন রোগী নিয়ে এ্যামবুলেন্সে করে এই গলি দিয়ে বের হওয়া যায় না।সার্বক্ষণিক এই গলির মধ্যে মিল গুলোর ট্রাক এসে দখল করে থাকে।একাধিকবার এই নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচার হলেও কোন মাথা ব্যাথা নেই প্রসাশনের।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ইয়াকুব রাজা জানান, পুরো সড়কের বেশির ভাগই এই মিলের ট্রাকের দখলে।কিছু বলতে গেলে নানাভাবে হুমকি ধামকী দেয়।কিছুদিন আগেও এই রাস্তা দিয়ে যেতে ড্রেনে পড়ে গিয়ে আমি এবং আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মারাত্বকভাবে আহত হই।এখানে ট্রাক ঢোকার কারনে রাস্তার একপাশের ড্রেন ভেঙ্গে গেছে।সেখান থেকে ময়লা চলাচলে প্রতিবন্ধকতার কারনে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
এই লেনের আরেক বাসিন্দা মাহাতাব জানান,গত কিছুদিন আগে সকালে হাটতে বের হয়ে দেখি গলির মধ্যে রাস্তা ব্লক করে একটা ট্রাক মালামাল আনলোড করছে।এবং ভ্যানে করে একজন ডেলিভারি রোগীকে হাসপাতালে নিতে পারছে না। তখন আমি প্রতিবাদ করলে মিলের শ্রমিকরা আমার উপর চড়াও হয়।পরে নগরীর সিমেট্রি রোড দিয়ে সেই রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়।
নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের কমিশনারকে বিষয়টি জানালে উনি খুলনা সিটি কর্পোরেশন থেকে এই লেনে ঢোকার মুখে একটি ব্যারিকেড দেয়।যে ব্যারিকেডটিও এই মিলের মালিকেরা ভেঙ্গে দিয়েছে।এটা যেন মগেরমুল্লুক, কোন কিছুর তোয়াক্বা করেনা এসব মিলের মালিক-শ্রমিকেরা।
ময়না কমিশনার এলাকাবাসিকে সাথে নিয়ে এর সুরহা করেছে অনেকবার তবুও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
নগরীর ২৩নং ওয়ার্ডের প্রতাপাদিত্য লেন যেন দুর্ভোগের শেষসীমা পার করেছে।এলাকাবাসির ক্ষোভ এখন চরমে উঠেছে।যেকোন সময় এসব মিল মালিক-শ্রমিক ও এলাকাবাসির মধ্যে বড় ধরনের দ্বন্দের সম্ভবনা রয়েছে।যে কারনে এলাকাবাসি প্রসাশনের সু-দৃস্টি এবং এই লেনে যাতায়াতের সুব্যবস্থার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।