পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর// যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক,স্বস্তি ও শান্তির কেশবপুর নির্মাণের কারিগর,মাননীয় সংসদ সদস্য যশোর-৬ জনাব শাহীন চাকলাদার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে বলেছেন, এই মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁরা আমাদের দেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন। তাদের মাধ্যমে আমরা সার্বভৌমত্ব পেয়েছি, লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে চিরতরে আওয়ামী লীগকে নিধন করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কেউ নিধন করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তার বিচার যাতে না করা হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করার মধ্য দিয়ে তারা ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা হয় নাই বরং খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষির সকল সেক্টরে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। সারের জন্য আর কোন কৃষককে গুলি খেতে হয় না। কেশবপুরের কৃষকলীগ ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ কৃষকলীগ এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি বান্ধব বলেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেশবপুর উপজেলার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে শণিবার বিকাল কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দুটি কারণে ভোট দিয়েছিল, এক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার, দুই কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন সৎ ব্যক্তি এবং বিশ্ব নেতাদের মধ্যে একজন। পৃথিবীর তিনজন রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে তিনি একজন। আমরা এদেশের কৃষক-শ্রমিক- মেহনতী মানুষদের নিয়ে শান্তি ও স্বস্তিতে থাকতে চাই।

বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ নাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রমেশ চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় শণিবার সন্ধ্যায় কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেশবপুর উপজেলার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা ও উদ্ধোধক হিসাব বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ আরশাফ আলী।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হালিমা রহমান, বেসরকারী সংস্থা বিষয়ক সম্পাদক মিরুল ইসলাম, সহ প্রচার ও প্রকশনা বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম বাদশা, যশোর জেলা কৃষকলীগের সভাপতি এ্যাড. শামছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোশারফ হোসেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, কেশবপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র জনাব রফিকুল ইসলাম মোড়ল, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক বি.এম. শহিদুজ্জামান শহিদ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার ওলিয়ার রহমান, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মশিয়ার রহমান সাগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম পিটু, যুগ্ম-সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. হুসাইন মোহাম্মদ ইসলাম, সদস্য শেখ মনিরুজ্জামান মনি, সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ মাষ্টার, পাঁজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল, মঙ্গলকোট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস, পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান, সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মনি, পাঁজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ আল বাহার, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মিনুরানী হালদার, পৌর কাউন্সিলর খাদিজা খাতুন, পৌর কাউন্সিলর কামাল খান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু সাঈদ লাভলু, উপজেলা ছাত্রলীগনেতা হাবিবুর রহমান খান মুকুল, পৌর ছাত্রলীগনেতা সাইফুল ইসলামসহ কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকলীগ, মহিলালীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আলহাজ্ব সৈয়দ নাহিদ হাসানকে পুনরায় সভাপতি ও রমেশ চন্দ্র দত্তকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করে কেশবপুর উপজেলা কৃষকলীগের ৭১ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়।