ইমরান হোসেন, বটিয়াঘাটা,খুলনা // একসময়ের খরস্রোতা শৈলমারী নদী নাব্যতা সংকট আর দখলদারিতে ভুগছে।এ অঞ্চলের ৭টি ইউনিয়ন জলমা,বটিয়াঘাটা,গঙ্গারামপুর,সুরখালী,ভান্ডারকোট,বালিয়াডাঙ্গা ও আমিরপুর ইউনিয়নের মানুষ এ নদীর ওপর নির্ভরশীল। নদীটি খনন ও দখলদারদের উচ্ছেদের চেষ্টা করেও কোন সুফল না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,ডুমুরিয়ার বিল ডাকাতিয়া থেকে বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমারহাট বাজারের পাশে দিয়ে ত্রিমোহনা হয়ে খুলনার দিকে রূপসা ও মোংলার দিকে পসুর ও কাজিবাছা হয়ে বয়ে চলেছে এই শৈলমারী নদী। বর্ষায় এ নদীর পানি ব্যবহার করে ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার লোকজন। বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি থাকলেও গত বেশ কয়েক বছরে নাব্যতা অনেক কমে গেছে।
জলমারহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন,শৈলমারী নদীর ওপর নির্ভর করে এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছিলো। কৃষি, শিল্পসহ নানা কাজে এ নদী ব্যবহৃত হয়। নাব্যতা হারানো এ নদী খনন না করলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এটা হয়তো আর ব্যবহার করা যাবে না। এ নদীকে বাঁচাতে না পারলে এলাকাবাসীর জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হবে।
সরজমিনে নদীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়,জলমারহাট বাজার থেকে শুরু হওয়া এ নদীতে পলি জমায় এটি নাব্যতা হারিয়েছে। এ ছাড়া নদীর দুই তীরে বাড়িঘরসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাত রয়েছে বলে স্থানীয় ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় এলাবাসীর দাবি অচিরেই যেন নদীটিকে ড্রেজিং করে এবং দুইপাশের দখলদারদের উচ্ছেদ করে নদী স্বাভাবিক গতি পথ ফিরিয়ে আনার।এবং এই নদীকে সচল করে আবার এখানকার কৃষিকে সমৃদ্ধ করার।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।