সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি// লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে গত ২১ দিন ধরে রোগীদের এক্স-রে করানো বন্ধ আছে। ফিল্ম সংকট থাকায় প্রতিদিন অর্ধশতাধিক রোগী ফিরে যাচ্ছেন এক্স-রে সুবিধা না পেয়ে। অন্যদিকে, চিকিৎসক না থাকায় গত দেড় মাস ধরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিনটিও বন্ধ রয়েছে। ফলে বাইরের প্যাথলজি বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বেশি টাকায় এক্স-রে এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে হচ্ছে। ব্যয়বহুল এই পরীক্ষাগুলো করাতে গিয়ে অনেক সাধারণ রোগীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অচিরেই এ সংকট নিরসন হয়ে যাবে।
হাসপাতালে দেখা গেছে, সদর হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষের তালা ঝুলছে। দরজায় লিখে দেওয়া হয়েছে ‘এক্স-রে ফিল্ম সরবরাহ না থাকায় আপাতত এক্স-রে করানো সম্ভব হইতেছে না’। এছাড়া আল্ট্রাসনোগ্রাফি চিকিৎসক না থাকায় সে কক্ষটিও বন্ধ দেখা যায়।
হাসাপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০-২১ দিন ধরে এক্স-রে ফিল্মের সরবরাহ নেই। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে প্রতিদিন ৭০-১০০ জনকে এক্স-রে পরীক্ষা দেওয়া হয়। বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনা এবং মারামারির রোগীদের প্রয়োজন বুঝে এক্স-রে করাতে হয়।
এই ছাড়া বিগত দেড় মাস ধরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিনটিও বন্ধ আছে। সপ্তাহে তিনদিন আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর সুবিধা পেতেন রোগীরা। কিন্ত এই কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক উন্নত প্রশিক্ষণে চলে যাওয়ায় পদটি খালি পড়ে আছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আবুল কালাম নামে একজন রোগী জানান, তিনি বুকে ব্যথার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসককে দেখিয়েছেন। চিকিৎসক তাকে বুকের এক্স-রে করাতে বলেছেন। হাসপাতালে এক্স-রে না করানোর কারণে তাকে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করিয়ে নিতে হবে। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এক্স-রে করানোর জন্য আপাতত ফিল্ম নেই। তবে হাসাপাতালের মালামালের টেন্ডার এবং ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গেছে। যে কোনো মুহূর্তে ফিল্ম চলে আসবে। আর আল্ট্রাসনোগ্রাফি চিকিৎসক না থাকায় সেটি বন্ধ আছে। ওই পদে চিকিৎসক এলে রোগীরা আল্ট্রাসনোগ্রাফি সুবিধা পাবেন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।