এস.এম.শামীম,দিঘলিয়া খুলনা// দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের জনৈক স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ঐ এলাকার বিপথগামী বখাটে তিন ধর্ষক।মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে।
দিঘলিয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত মেয়েটার বাড়ীতে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।চিকিৎসার জন্য পুলিশ প্রহরায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।দিঘলিয়া থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এলাকাবাসী ও দিঘলিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সকাল ৯ টার সময় দেয়াড়া গ্রামের (জ্ঞানীমোড়) এলাকার শান্ত বিশ্বাস (২০) পিতাঃ- ইয়ারুপ বিশ্বাস,মুন্না আহসান (১৮) পিতাঃ- সিরাজ সরদার ও বিল্লাল হোসেন (২২) পিতাঃ-মিজানুর রহমান বাউয়ালী।জনৈক স্কুল ছাত্রী (১২)কে স্কুলে যাবার পথে নির্জন ফাঁকা জায়গায় রাস্তা থেকে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে দেয়াড়া পূর্ব পাড়া নাককাটি খাল পাড় এলাকার এক নির্জন বাগানে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
দিঘলিয়া থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে দেয়াড়া গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ (তিন) ধর্ষককে গ্রেফতার করে দিঘলিয়া থানা হেফাজতে রাখা হয়। বর্তমানে কোন নারী নিরাপদ নয়। সে যে কোন বয়সের হোক এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে।
খুলনা এএসপি সার্কেল মোঃ রাজু আহম্মেদ, দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ চৌধুরী ও দিঘলিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার,এস আই সহিদুল ইসলাম সহ- সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ ধর্ষকদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অপরাধীরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এ রিপোর্টে লেখা পর্যন্ত থানায় ধর্ষণ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে ।
অভিযুক্তদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করানোর জন্য আদালতে হাজির করা হতে পারে বলে
জানা যায়।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।