সরদার বাদশা,নিজস্ব খুলনা // খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রহ্লাদ কুমার ব্রহ্ম নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে অবৈধ ভাবে দাতা ক্যাটাগরীর ভোটার তালিকা হিসেবে তালিকা ভূক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে।আর এ ব্যাপারে সহযোগীতা করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনতি কুন্ডু।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক সরদার মাসুম বিল্লাহ প্রতিকার চেয়ে রোববার (২৪ এপ্রিল) ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,
ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন কে সামনে রেখে গত ২১ মার্চ তারিখে অভিভাবক ও দাতা শ্রেণির চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে তা অনুমোদিত হয়।
ওই তালিকায় দাতা শ্রেণির এক টার্ম(দুই বছর) মেয়াদী ভোটার হিসেবে বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে প্রহ্লাদ কুমার ব্রক্ষ্ম’র নাম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিনতী কুন্ডুর যোগসাজসে বিধি বহির্ভূত ভাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। বিদ্যালয়ে রক্ষিত রেকর্ড পত্রানুযায়ী জানা গেছে আগামী ১৯ জুন তারিখে বিদ্যালয়ের বর্তমান নিয়মিত কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীন্ন হবে। সে কারণে ২০২২-২০২৪ ইং দুই বছর মেয়াদী ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনের ১৮০ দিন পূর্বে কমিটি গঠনের কার্যক্রম গ্রহন করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছর ২১ ডিসেম্বর তারিখে খুলনার একটি স্হানীয় দৈনিক পত্রিকায় ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষে দাতা শ্রেনির ভোটার অন্তর্ভূক্তির বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তির আলোকে বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি প্রহ্লাদ কুমার ব্রহ্ম এক টার্মের জন্যে দাতা শ্রেনির ভোটার হিসেবে ২০ হাজার টাকা নগত জমা দিয়েছেন বলে প্রধান শিক্ষক জানালেও তিনি টাকা জমা দেয়া বা নেয়ার স্বপক্ষে কোন তথ্য প্রমান দেখাতে ব্যর্থ হন। অথচ গত ২১ তারিখে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভায় প্রহ্লাদ কুমার ব্রহ্মকে বিধি বহির্ভূত ভাবে দাতা শ্রেনির ভোটার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম প্রকাশ এবং নির্বাচনে দাতা শ্রেণির সদস্য হিসেবে একক ভাবে নির্বাচিত ঘোষণার পায়তারা চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী সরদার মাছুম বিল্লাহ বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের যোগ সাজসে প্রহ্লাদ কুমার ব্রক্ষ্ম কে আবারো অবৈধ পন্হায় স্কুলের সভাপতি নির্বাচিত করতে পায়তারা চালানো হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, প্রহ্লাদ কুমার ব্রহ্ম বাংলাদেশ-ভারতের একজন দ্বৈত নাগরিক। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাঁধাদানসহ বিভিন্ন অপরাধের দুটি মামলায় অভিযুক্ত আসামী হিসেবে প্রায় একমাস হাজত বাস করেছেন। তার মত একজন বিতর্কিত ব্যক্তি কিভাবে, কোন আইনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটিতে থাকতে পারেন বলে প্রশ্ন রাখেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রহ্লাদ কুমার ব্রহ্ম’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি বৈধপন্থায় স্কুলের দাতা সদস্য হিসেবে আছি। আমার কাছে স্কুলে টাকা জমা দেওয়ার মানি রিসিভড আছে। এবং ভারতীয় নাগরিকের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আর আমার স্ত্রী ভারতীয় নাগরিক না আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে ভারতীয় নাগরিক। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনতি কুন্ডু জানান, বিধি সম্মত ভাবে প্রহ্লাদ কুমার ব্রহ্ম’কে দাতা শ্রেনির ভোটার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তবে তার জমাকৃত নগত টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে হস্ত মজুদ রেখে খরচ করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন,লিখিত অভিযোগটি এখনও আমার হাতে পৌছায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।