মোঃ আলমগীর হোসেন, লোহাগড়া (নড়াইল) সংবাদদাতা// নড়াইলের লোহাগড়া পৌর এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোরীকে পৈত্রিক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে পিটিয়ে আহত করেছে স্বজনরা। গুরুতর আহত কিশোরীকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আহত কিশোরীর মা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। কিন্তু লোহাগড়া থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে কিশোরীকে মারপিটের ঘটনায় পুলিশ তৎপর না হওয়ায় বাদী এ্যাড. শাহাজিয়া শারমিন নড়াইলের পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করেছেন। জানা গেছে,লোহাগড়া পৌর এলাকার লক্ষীপাশা গ্রামের মৃত আশরাফুজ্জামান লিমনের স্ত্রী নড়াইল জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. শাহাজিয়া শারমিন তার দু’ কন্যা সন্তানসহ স্বামীর ভিটায় বসবাস করে আসছে। স্বামীর মৃত্যুর পর শাহাজিয়ার শাশুড়ি মৃত লিমনের মা তার একমাত্র ছেলের ঘরের দু’ নাতনীকে বাড়ীর অর্ধেক সম্পত্তি ও ননদকে অর্ধেক সম্পত্তি লিখে দেন। কিছুদিন পর লিমনের মা ও বাবা মারা যান। এরপর লিমনের বোন শামসুন্নাহার লুনা ও তার স্বামী মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর বেনাপোল অফিসে উপ-পরিদর্শক পদে কর্মরত আশরাফুল আলম পলাশ মিলে লিমনের দু’ মেয়েকে পৈত্রিক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র করে আসছে। এসব ঘটনায় শুক্রবার লোহাগড়া থানায় ঊভয় পক্ষকে নিয়ে শালিস বসে।
শালিসে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র দু’পক্ষকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে লিমনের বড় মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী স্নেহা (১৬) নিজেদের বসত ঘরে প্রবেশ করতে গেলে শামসুন্নাহার লুনা ও তার স্বামী মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর বেনাপোল অফিসে উপ-পরিদর্শক পদে কর্মরত আশরাফুল আলম পলাশ বাঁধা দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় স্নেহা তার নিজ ঘরে ঢুকতে গেলে তাকে লোহার রড় ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। প্রতিবেশিরা গুরুতর আহতাবস্থায় স্নেহাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপতালে ভর্তি করেন। স্নেহাকে মারপিটের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবিসহ ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ মানুষজন দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশে-প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে। এ ঘটনায় স্নেহার মা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ৬ জনের নামে এজাহার দাখিল করলেও পুলিশ এখনও নিরব। আহত স্নেহার মা নড়াইল জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. শাহাজিয়া শারমিন বলেন, আমার সন্তানদের তাদের পৈত্রিক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করে আমার ননদ লুনা ও তার স্বামী গং সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থ আত্নসাত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমি এতিম ও অসহায় সন্তানকে মারার ঘটনায় এলাকাবাসীসহ রাষ্ট্রের কাছে বিচার দাবি করছি।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, বিষয়টি পারিবারিক। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।