সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি // লক্ষ্মীপুরে আদালতে ১১৪ধারার আদেশ অমান্য করে পুলিশের উপস্থিতিতে নালিশী জমি দখল ও মামলার বাদীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। আদালতে ১৪৪ধারা আদেশ স্থিতাবস্থা কার্যকর করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে নোটিশ দিতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনে।
গত শনিবার (৭মে) সকাল ১০ ঘটিকায় লক্ষ্মীপুর সদরের চররুহিতা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে মনু বেপারী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানাযায়, চররুহিতা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে মনু বেপারী বাড়ীর আবদুল কাদেরে স্ত্রী নূরনাহার, মেয়ে কামরুন নাহার ও জান্নাতুল নাঈম জুঁই হেবা দলিল সূত্রে সাড়ে ৫শতাংশ জমির মালিক দখলকার হয়ে বসত ঘর নির্মাণ করে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বসবাস করেছে। একই বাড়ীর প্রতিপক্ষ আহসান উল্যা, তোফায়েল আহম্মদ, নাজিম উদ্দিন, রিনা বেগম, নুসরাত জাহান ও ফাতেমা বেগমগংরা তাদের জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করলে নূরনাহার বাদী হয়ে বিগত ২৭/৪/২২ইং তারিখে উক্ত অবৈধ দকলকারীদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিছ মামলা নং-৫৯২ দায়ের করে। বিচারক দুই পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ওসি, লক্ষ্মীপুর সদর থানাকে আদেশ দেয়। এস আই আবদুল হান্নান আদালতের আদেশ কার্যকর করতে দুই পক্ষকে নোটিশ দিতে ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিপক্ষ আহসান উল্যাগংরা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র হাতে নিয়ে মামলার বাদী নূরনাহার গংদের উপর হামলা চালায়৷ তাদের বসত ঘরের মুল দরজায় কাঠ দিয়ে বন্ধ করে এবং ঘরের সামনে তারকাটা দিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়। মামলার বাদী নুরর নাহার জানান আমার স্বামী আ: কাদের আমার দেবর রফিককে আমার বসত ঘরের বাহিরে ৩ ডিসিম জমিন দান করেন । এখন আমার বাসুর আহসান উল্যাহ আমার দেবরের পক্ষ নিয়ে আমাকে ও সন্তানদের কে ঘর থেকে বাহির করে আমার বসত ঘর দখল করে নিয়েছে, আমি এখন নিরোপায় তাহাদের ভয়ে বাড়ি ঘরে থাকতে পারছিনা। বাদীর স্বমী আ:কাদের বলেন আমার পিতার মৃত্যুর পরে অমার ছোট ভাই রফিকের কোন জায়গা জমিন ছিলনা, তখন আমি আমার অংশ থেকে ১২১৭/ ১২১৮ দাগরে অংশ থেকে ৩ ডিসিম জমি ছোট ভাই রফিককে দান করি । আমার বসত ঘরের কোন অংশ দান বা বিক্রি করি নাই। এখন আমার বড় ভাই আহসান উল্যা আমার বসত ঘর ভাংচুর করে আমার পরিবারের সকলকে মারধর করে বাহির করে দিয়ে আমার ঘরের সামনে তারকাটার বেড়াদিয়ে আমার বসত ঘর দখলে নিয়েছে। আদালতে মামলা করায় পুলিশেরে উপস্থিতে আমাকে মারধর করেন আহসান উল্লা ও তার লোকজন , আমি এই ঘটনার প্রশাসনের নিকট সুস্থ’ বিচার দাবি করি।
মামলার অভিযুক্ত আহসান উল্লা জানান বসত ঘর ও ভিটিমাটিসহ এই সম্পদ আমার ক্রয়কৃত সম্পদ আমার জায়গা আমি দখল করেছি, আমার ঘর আমি ভাংচুর করছি কার কি আসে যায়
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই আবদুল হান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়ায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাননীয় আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।