এস.এম.শামীম দিঘলিয়া খুলনা // দিঘলিয়ার বারাকপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ সৌরভ রায় কর্তৃক প্রতারণার স্বীকার ৯ ওয়ার্ডের প্রায় ৩৫টি অসহায় পরিবার।
বারাকপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড ঘুরে জানা যায়,প্রতিটি ওয়ার্ড এলাকা থেকে গ্রাম পুলিশ সৌরভ বিভিন্ন ভাতা ভোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা।
এবিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলেন ৪নং ওয়ার্ড এলকার আতিয়ার রহমান এর স্ত্রী তিনি জানান, তাকে মাতৃকালীন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য সৌরভ প্রথমে ৫ হাজার টাকা নেয় এবং কার্ড হয়ে গেলে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান। কথা হয় ৭নং ওয়ার্ড এলাকার এক সাইকেল মেকারের সাথে তিনি বলেন সৌরভ তার কাছ থেকে ভিজিডিএফ কার্ড করে দেওয়ার জন্য ৬ হাজার টাকা নিলেও ২ বছরেও হয়নি কোন কার্ড। কথা হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩নং ওয়ার্ড এলাকার এক গর্ভবর্তী মহিলার সাথে তিনি জানান মাতৃকালীন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য সৌরভ তার কাছ থেকে ৯ হাজার পাঁচশত টাকা নিলেও তিন বছরেও হয়নি তার কোন কার্ড বা ভাতা, এমনকি ফেরত পায়নি তার দেওয়া টাকা। বারাকপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আরোও একজন ভুক্তভোগী স্বপন মজুমদার বলেন মাতৃকালীন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য সৌরভ ১০ হাজার টাকা নিয়েছে এবং কার্ড হয়ে গেলে আরোও ১০ হাজার দিতে হবে বলে স্বপন মজুমদারকে বলেন।
সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বারাকপুর ইউনিয়নের রাধামাধপুরের রতন মোহন্ত, লক্ষীকাঠির অশোক বিশ্বাস, আড়ুয়া এলাকার সুশান্ত, বোয়ালিয়ার চর এলাকার সবুজ মোহন্ত সহ প্রতিটি ওয়ার্ডে রয়েছে গ্রাম পুলিশ সৌরভের প্রতারণার স্বীকার ৪/৬ জন। এবিষয়ে কথা হয় কামারগাতী এলাকার ৬০ বছরের বৃদ্ধা মহিলার সাথে তিনি জানান তার বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য সৌরভকে ৬ হাজার টাকা দিলেও ২ বছরেও কোন কার্ড হয়নি। এ ঘটনায় কয়েকজন প্রিন্টিং মিডিয়ার সাংবাদিকগণ, বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। কথা হয় পরিষদ সচিব প্রদীপ কুমারের সাথে তিনি বলেন আমি অনেক কিছু শুনেছি সৌরভ কে ফোন করে পরিষদে আসতে বলেছি কিন্তু আসেনি। এবিষয়ে উক্ত সাংবাদিকগণ কামারগাতী এলাকার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট হেমায়েতের কাছে জানতে চাইলে হেমায়েত বলেন সৌরভ নিজে এসে উক্ত এজেন্ট ব্যাংক থেকে বহুবার টাকা তুলেছে এমনকি বিভিন্ন ভাতার কার্ডে একজনের ছবি থাকলেও টাকা তুলতে ব্যবহার হচ্ছে অন্য কারো হাতের ফিঙ্গার।
এবিষয়ে অনেকেই জানান গ্রাম পুলিশ সৌরভ একজন সরকারী কর্মচারী। তার বিরুদ্ধে কথা বল্লে বিপদ আছে। তবে কয়েকজন ভুক্তভোগী একযোগে প্রতারক সৌরভের বিরুদ্ধে অসহায় মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কোন প্রকার ব্যবস্থ গ্রহণ করা হয়নি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।