পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোটে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর ১২৩ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা কৃষ্ণনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে বুধবার ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলকোট ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা কৃষ্ণনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্বপন কুমার মল্লিকের সভাপতিত্ব প্রধান আলোচক ছিলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হাচান সরদার। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, সহকারী শিক্ষক গয়ানাথ সরকার ও সুমন কুমার মজুমদার।
আলোচকরা ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য বলেন, জাতীয় কবি নজরুল ছিলেন, একাধারে প্রাবন্ধিক, উপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, সুরকার, সঙ্গীত রচয়িতা, সাংবাদিক ও সৈনিক। জাতি, বর্ণ, গোত্র, গোষ্ঠী সংকীর্ণতার উর্ধ্বে তিনি বাংলা সাহিত্যের এক বিষ্ময়কর প্রতিভা।
তারুণ্যের জয়গানে সমগ্র জাতিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের ছোবল থেকে মুক্ত করে আলোর পথ দেখাতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ধূমকেতুর মতো হঠাৎ আর্বিভূত হয়েছিলেন বাংলার সাহিত্যাকাশে। কিন্তু তাঁর বিচরণ দীর্ঘায়ত হয়নি। তার কন্ঠ বাণীহারা হয়ে গেল দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়। তিনি লিখেছেন মাত্র বাইশ বছর, প্রচুর লেখনি। তাঁর প্রতিবাদী ভূমিকা, সাহসী লেখনী তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে হয়ে দাঁড়িয়েছিলো এক শক্তিশালী হাতিয়ার। কুলি-মজুর কামার-কুমার থেকে শুরু করে সমস্ত শ্রেণীর মানুষ তাঁর সাহিত্যে যথার্থ মর্যদায় স্থান পেয়েছে। জাতির ও সমাজের অন্যায় অবিচার, কুসংস্কার ও অত্যাচারের তিনি বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলেছিলেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।