মোয়াজ্জেম হোসেন,শালিখা থানা প্রতিনিধি // শালিখা থানার গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন এর ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার রামান্দকাঠি গ্রামের মোঃ শরিফুল মোল্যা দূই সন্তানের জননীকে নিয়ে পালিয়েছে।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, মহিলার স্বামী চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকায় ওই মেম্বার তাকে বিভিন্ন অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলার বাড়িতে যাতায়াত করে তার সাথে অবৈধ্য সম্পর্ক গড়ে তোলে।এ ঘটনা গত চার পাঁচ দিন আগে এলাকায় জানাজানি হলে মেম্বার এর স্ত্রীর কানে পৌছায়। শরিফুলের কাছে তার প্রথম স্ত্রী জিগ্যেস করলে শরিফুল তার প্রথম স্ত্রীকে বেধড়ক পিটায় এবং গত ০৭/০৬/২২ তারিখ ওই দুই সন্তানের জননী রহিমা (ছদ্দ নাম)কে বিয়ে করে ০৮/০৬/২২ দুই বাচ্চাসহ ঐ নারীকে ঢাকা পাঠিয়ে দেয়।এবং বিয়ের দুই দিন আগে রহিমার স্বামী বিষয়টা জানতে পেরে শরিফুল মেম্বারকে ফোনে মেসেজ করে জানায় যে এ ব্যাপার নিয়ে আর না আগাইতে এতে দুই পক্ষেরই বিপদ হবে।
জবাবে মেম্বার জানায়, আমি নিজেই একটা বিপদ আমার কি বিপদ হবে।শরিফুল মেম্বার এর এক ছেলে ও এক মেয়ে। শরিফুলের মেয়েও বিবাহিতা ৷
স্হানীয় সুত্রে আরো জানা যায় যে, শরিফুল মেম্বার বিভিন্ন অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেখিয়ে মহিলাদের ফোন নাম্বার যোগাড় করে তাদেরকে উত্যক্ত করে আসছিলো। এবং এসব অসহায় মহিলারা প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকে তার ক্ষমতার ভয় দেখাতো।
জানা যায়, গত ছয়-সাত মাস আগে ওই মেম্বার আরো একটা সংসার ধংস করে দিয়েছে।সেই মহিলা এখনো পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারেনি।এলাকাবাসীরা বলেন,এ ধরনের চরিত্রহীন লোক যদি পরিষদের সদস্য থাকে তাহলে রহিমা,হালিমা,সখিনাদের মত শুধু মাত্র কয়েকটা সংসার না গোটা সমাজটাই ধ্বংস হয়ে যাবে।তাই এলাকাবাসীর একটাই দাবি এ ধরনের চরিত্রহীন বিকৃত মস্তিসকের মানুষের পরিষদের সদস্য পদ অবিলম্বে বাতির করা হোক।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হালিম মোল্লা এবং তার সুযোগ্য সন্তান ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জসিম মোল্লা ও জনগণের সাথে একমত পোষণ করে বলেন, এ ধরনের বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষকে পরিষদে কোনো ভাবেই ঠাই দেওয়া হবে না।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।