বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি // বটিয়াঘাটা উপজেলার ১নং জলমা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভূয়া ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে । বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।
সূত্রে প্রকাশ, শহর সংলগ্ন উপজেলার জলমা ইউনিয়ন বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের বসবাসের উপযোগী স্থান হওয়ায় এ ইউনিয়নে জমির মূল্য আকাশচুম্বী হয়েছে। যে কারনে, বিভিন্ন মেয়াদে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানবৃন্দ কর্তৃক ওয়ারেশ কায়েম সনদ নিতে অথবা জমির/ সম্পত্তির মালিক হতে গেলে জমির মূল্য অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে ।
জমির মূল্য অনুযায়ী অর্থ না দিলে কোন ওয়ারেশ কায়েম সনদ পাওয়া যায় না।বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানদের শেখ পরিবার/ রাজ পরিবারের সুপারিশ আছে মর্মে নাম ভাঙ্গিয়ে উক্ত ভূয়া ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদানের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।সম্প্রতি ১২ জুন জলমা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অশোক কুমার মন্ডলের সুপারিশে ছয়ঘরিয়া গ্ৰামের মৃতঃ কৃষ্ণ মন্ডলের ৫ পুত্র মর্মে ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদান করেন । উক্ত কৃষ্ণ মন্ডলের ৫ পুত্র ওয়ারেশ যথাক্রমে উদয় মন্ডল, নিবারণ মন্ডল, সুধারাম মন্ডল,বিষ্ণু মন্ডল ও আদ্দাস মন্ডলকে ওয়ারেশ বানিয়ে স্থানীয় ছয়ঘরিয়া গ্ৰামের মৃতঃ জিতেন্দ্র মন্ডলের পুত্র রজত মন্ডলকে উক্ত ভূয়া ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদান করেন।
কিন্তু সমস্ত তথ্য প্রমাণে দেখা যায় প্রকৃতপক্ষে কৃষ্ণ মন্ডলের ২ পুত্র যথাক্রমে উদয় মন্ডল ও নিবারণ মন্ডল। অথচ বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায় ২ পুত্রের পরিবর্তে ৫ পুত্রকে ওয়ারেশ সৃষ্টি করে ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদান করেছে । এতে ভূক্তভোগীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে ।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী ছয়ঘরিয়া গ্ৰামের মৃতঃ চেচান মন্ডলের পুত্র কার্তিক মন্ডল এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের নিকটতম শরীক ষষ্টী চরন মন্ডলের অনেক জমি । যার মূল্য প্রায় ৩/৪ কোটি টাকা। উক্ত সম্পত্তি ভূয়া ওয়ারেশ কায়েম সনদ সৃষ্টি করে ভাগাভাগি খাওয়ার অপ চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে ।
তিনি আরো বলেন, আমি ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায়কে বিষয়টি অবগত করেছি । তিনি পূর্বের ওয়ারেশ কায়েম সনদটি বাতিল করে নতূন ভাবে প্রকৃত সংশোধন সনদ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায় এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদান করি স্থানীয় স্ব-স্ব ওয়ার্ড ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ পূর্বক তা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে।উক্ত ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদান করার ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউপি সদস্য অশোক কুমার মন্ডলের সুপারিশ ছিল । আমি ভূক্তভোগী মারফত জানতে পেরেছি উক্ত ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদান ভুল হয়েছে। পূর্বের ভুল ওয়ারেশ কায়েম সনদটি বাতিল করে নতুন করে সঠিক ভাবে দেয়া হবে।
এলাকাবাসী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের ওয়ারেশ কায়েম সনদ বিক্রি বন্ধে শেখ পরিবার সহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।