অতনু চৌধুরী (রাজু) বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি // বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের তাসলিমা বেগম আগলাদিয়া গ্রামের আনোয়ার ব্যাপারীর মেয়ে আত্মাহত্যা করেন। এবং একই এলাকার সেকেন্দার শেখের পুত্র মহিদুল শেখের স্ত্রী। প্রায় ১১ বছর আগে বিবাহ হয় তাসলিমার। তাদের সংসারে আটবছরের একটি ছেলে ও তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ইয়াছিন জানান, বেশকিছু দিন ধরেই তার স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মোংলা থানায় মিমাংসাও হয়।
তাসলিমার শাশুরী শাহিদা বেগম বলেন,গতকাল বৃহস্পতিবার আমার ছেলের লুডু খেলা নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ছেলে মহিদুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে আমি আমার ছোট ছেলের অসুস্থ্য স্ত্রীকে দেখতে বাড়ি থেকে চলে আসি, সেখান থেকে ফিরে এসে দেখি ঘরের আড়ার (চৌকাঠ) সাথে গলায় দড়ি দিয়ে তাসলিমা ঝুলে আছে। সাথে সাথে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।
মৃত তাসলিমা বেগমের মেঝো ভাই মফিজুল ব্যাপারী (৩২) বলেন, আমার বোন আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এর আগেও এদের ঝগড়া নিয়ে মোংলা থানায় কয়েকবার বসাবসি করে তাদের মিলিয়ে দেওয়া হয়।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাইমেন ইবনে মোস্তাফিজ বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেছে পরিবার। তার গলায় দড়ির দাগ ছিলো
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত করছি ঐ নারীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই হত্যার প্রকৃত কারন শনাক্ত করা যাবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।