শেখ খায়রুল ইসলাম,পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি // খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের খাস খাল অবমুক্ত করা হয়েছে।স্বস্তি পেয়েছেন ৮ গ্রামের মানুষ। জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছে ৫ হাজার একর ফসলি জমির।
উল্লেখ্য গত ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার চাঁদখালী ইউনিয়নের শ্রীপুর থেকে চাঁদমুখী কালভার্ট অভিমুখে সরকারি খাস জমির উপর ভেড়িবাঁধ কর্তন,নেটপাটা অপসরণের মাধ্যমে খাস খাল অবমুক্ত করে এ জলাবদ্ধতা নিরসন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিমত,দীর্ঘদিন শ্রীপুর হতে চাঁদমুখী কালভার্ট অভিমুখে সরকারি খাস খালে বাঁধ,নেটপাটা ব্যবহার করে অবৈধ দখলদারগণ মৎস্য চাষ করে আসছে।সরকারি এ খাস খালটি চাঁদখালী ইউনিয়নের ৪ও ৫ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ৮টি গ্রামের যথাক্রমে ফতেপুর,ধামরাইল,কাওয়ালী,ডোংগাভাংগা, শ্রীপুর,গড়েরডাংগা,ঢ্যামশাখালী,কানুয়াডাংগা গ্রামের মানুষের প্রায় ৫ হাজার একর ধানের জমির পানি সরবরাহের একমাত্র উৎস্য।তবে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি এ খাস খালটি অবৈধ ভাবে দখলে থাকায় পানি সরবরাহের কোন মাধ্যম না থাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছর ও জলাবদ্ধ ছিলো।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইউপি চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য ও স্হানীয় ভুক্তভোগী জনসাধারণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।যার অনুলিপি উপজেলা চেয়ারম্যান,সহকারী কমিশনার ভূমি,অফিসার ইনচার্জ পাইকগাছা থানা ও চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরণ করেন।সেই পরিপেক্ষিতে ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগমের নির্দেশক্রমে চাঁদখালী ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান ফাতিমা তুজ জোহরা রুপা,৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান বিশ্বাসের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতায় খাস খাল অবমুক্ত ভেড়িবাঁধ কর্তন,নেটপাটা অপসরণ অভিযান পরিচালিত হয়।
উক্ত অভিযানের উপস্থিত ছিলেন,ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কামরুল হাসান,উপজেলা আনছার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক আলতাফ হোসেন,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণসহ এলাকার ভূক্তভোগী জনসাধারণ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।