কয়রা প্রতিনিধি // খুলনার কয়রায় গায়ে এসিড ঢেলে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে গৃহবধূ শামীমা নাসরিন এর বিরুদ্ধে। তবে অস্বীকার করে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি অভিযুক্তের। ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে কয়রা থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে মহেশ্বরীর ইউনিয়নের কুচির মোড় সংলগ্ন এলাকায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,শামীমার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল আব্দুল খালেক ও লেয়াকত গংদের সাথে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের গায়ে নিজেই এসিড জাতীয় পদার্থ দিয়ে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এর আগেও শামীমা এলাকার নিরীহ ও সাধারন মানুষের নামে মামলা দেন প্রতিহিংসার বসে। তার গায়ে এডিস জাতীয় কোন পদার্থ মারা হয়েছে কিনা তার প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা জানেনা হঠাৎ সকালে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানতে পারেন বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রতিপক্ষকে ফাসাতে এমন কাজ করছে দাবি এলাকা বাসির। এলাবাসি শামীমার বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড তুলে ধরে একাধিক বিয়ে ও অবৈধ সম্পর্ক আছে এমন অভিযোগ করেন।
প্রতিবেশী আব্দুল খালেক বলেন, শামীমাকে দিয়ে তার স্বজনেরা জোর কর ভয় ভ্রীতি দেখিয়ে আমাদের জমি দখল করে খাচ্ছে উল্টো বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ করাচ্ছে ও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
সরেজমিনে গেলে ছোট বাচ্চা কোলে নিয়ে কান্না বিজড়িত কন্ঠে সাবিনা বলেন, আমি কিছুই জানিনা তার সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ গুস্টিগত ও পারিবারিক তাও আমার বাচ্চা একেবারে ছোট সে আমাকে ও ছাড় দেইনি মিথ্যা মামলা দিতে। এসিড নিজের গায়ে দিয়ে আবার আমাদের ভাসাতে চেষ্টা করছে।
স্কুল শিক্ষক শামীমার প্রতিবেশী খায়রুল বলেন, তার বাড়ির পাশে আমার বাড়ি রাতে এডিস মারবে তা অন্তত পক্ষে আমরা তো জানবো। আমরা মনে হচ্ছে তাদের প্রতিপক্ষকে ফাসানোর পায়তারা করছে।
শামীমা বলেন,নিজ শয়ন কক্ষে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়ি। আকস্মিক শরীরে জ্বালা পোড়ায় জেগে উঠি এবং চিৎকার দিয়ে বাড়ির সকলকে ডাকি। তবে কে বা কারা এসিড নিক্ষেপ করেছেন সেটা জানেন না তিনি এমন প্রশাসন ও গণমাধ্যমে প্রথমে বললে ও শামীমা পরে পূর্বে যাদের সাথে জমি নিয়ে শত্রুতা তাদের নাম উল্লেখ করে তাদের দোষারোপ করে যে তারা এসিড মেরেছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুজিত কুমার বৈদ্য বলেন, মেজর তেমন কিছু দেখছি না, এসিড কিনা সন্দেহ হচ্ছে এসিড হলে ক্ষত হত। যতটুকু সমস্যা সেটুকু এখানে চিকিৎসা সম্ভব কিন্তু ভিকটিম খুলনায় যেতে চাচ্ছে তাই তাদের রেফার্ড করা হয়েছে।
কয়রা থানার অফিসার্স ইনচার্জ এ.বি.এম.এস. দোহা বিপিএম বলেন,সংবাদ পেয়ে আমি নিজেই হাসপাতালে যেয়ে তাদের সাথে স্বাক্ষাত করি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।