মোঃ আলমগীর হোসেন,লোহাগড়া (নড়াইল) সংবাদদাতা // নড়াইলের লোহাগড়ায় শরিফুল ইসলাম নামে একজন নিরপরাধ শিক্ষককে অপরাধী সাজাতে নানা কৌশল করছেন এক মহিলা। সর্বশেষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়। অথচ ওই মহিলার বিরুদ্ধে অবৈধ মেলামেশা করতে গিয়ে জনতার হাতে আটকের সুনিদিষ্ট অভিযোগও রয়েছে। ভূক্তভোগীর অভিযোগ,নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার মোচড়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক শরিফুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের হুমায়ুন কবির মিন্টু শেখের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে স্কুল শিক্ষককে ফাঁসাতে মিন্টু শেখের স্ত্রী আছিয়া বেগম শিক্ষক শরিফুলের বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন। একই অভিযোগ একাধিক দপ্তরে পাঠায়। যা একাধিক দপ্তর থেকে তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হলেও থেমে নেই আছিয়ার ষড়যন্ত্র।
শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগকারি আছিয়া বেগম গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা এলাকায় (জোড়া পাম্পের) পাশে নির্মানাধীন ভবনের মধ্যে মোক্তার শেখ নামের এক নির্মান শ্রমিকের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপের সময় অপর নির্মান শ্রমিক হাবিব ও আরমানের কাছে ধরা পড়ে। পরে মোক্তারের স্ত্রীকে খবর দিলে তিনি মোক্তারকে বাড়িতে নিয়ে যায়। হাবিব ও আরমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা আদালত তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনবেস্টিকেশন (পিবিআই) এর উপর দায়িত্ব দেন। পিবিআই মামলাটি সরেজমিন তদন্ত করে স্বাক্ষীদের সাথে কথা বলে মামলাটি সত্য নয় বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক শেখ মোনায়েম হোসেন। এছাড়া গত ১৩ ফেব্রয়ারী হুমায়ুন কবির মিন্টুর স্ত্রী মোছাঃ আছিয়া বেগম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নড়াইলের বরাবরে শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।
শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন অভিযোগটি প্রতিপক্ষ মোঃ শরিফুল ইসলামকে ফাঁসানোর চেষ্ঠা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বাস্তবে শরিফুলের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপের যে অভিযোগে করা হয়েছে তেমটি ঘটেনি। এমকে মিতালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও লোহাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন,শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।আছিয়া বেগম এই ধারণের অভিযোগ করে নিজেই নিজের সন্মান ক্ষুন্ন করেছে। লোহাগড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কমিশনার মোঃ উজ্জল মোল্যা বলেন, শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ মিথ্যা। তাকে শায়েস্তা করার জন্য আছিয়া বেগম ষড়যন্ত করে। বিভিন্ন সময় এই অছিয়া বেগম শরিফুল ইসলামের ক্ষতি করার চেষ্ঠা করে থাকেন । ওদের ইজ্জতের কোন ভয় নেই।
ভুক্তভোগী শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন,প্রবিবেশী হওয়ার কারণে হুমায়ুন কবির মিন্টু স্ত্রী মোছাঃ আছিয়া বেগম আমাকে বিভিন্নভাবে সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্ঠা করছেন।আমি লোহাগড়া এম,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত আছি।ওদের নানাবিধ হেনস্থার কারণে পারিবারিক, স্কুলে পাঠদানে ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। এর থেকে মুক্তি পেতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছি। এ সব বিষয়ে মোছাঃ আছিয়া বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।