মোঃ ফয়সাল হোসেন,কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি // খুলনার কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তস্বত্বা এক নারীকে সিজার করতে গিয়ে সিভিল সার্জন ডা.সুজাত আহমেদের ভুল সিজারে কারনে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,অতিরিক্ত রক্তক্ষণে মায়ের অবস্থাও আশংকাজনক ছিল।তাকে কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।শনিবার(১৫ সেপ্টেম্বর)বিকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপরাশেন থিয়েটারে ঘটনাটি ঘটে।আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসা নেয়া রোগির নাম ফাতিমা খাতুন।কয়রা উপজেলার মঠবাড়িয়া এলাকার আসাদুর মোড়লের স্ত্রী তিনি।
ফাতিমার স্বামী আসাদুর মোড়ল জানান,সাত হাজার টাকার বিনিময়ে খুলনার সিভিল সার্জন ডা.সুজাত আহমেদের সাথে অন্তস্বত্বা নারীর পরিবারের সদস্যদের চুক্তি হয়।নির্দিষ্ট সময়ে ভুল অপারেশনে নবজাতকের মৃত্যু হয়।কয়রা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা ডা.সুদিপ বালা জানান,“ অপারেশনটি সিভিল সাজন করেছেন।শনিবার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এম এ হাসানও একই অভিযোগ করেন।
রোগির স্বজনরা জানান, সম্পূণ সুস্থ অবস্থায় ফাতিমাকে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করানো হয়।তার আগে সব ধরণের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হলে নবজাতকসহ মা সুস্থ আছেন বলে সিভিল সার্জন তাদের জানান।তারা বলেন,সবাই সুস্থ অবস্থায় অপরাশেন থিয়েটারে গেলেও নবজাতক মৃত অবস্থায় এলো।এই সময় রোগির স্বজনরা বিক্ষোভ করলে ডা.সুজাত দ্রুত খুলনায় চলে যান।
কয়রা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা ডা.সুদিপ বালা জানান,প্রতি মাসে সিভিল সার্জন কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চুক্তি ভিত্তিক ৫০ থেকে ৬০টির মতো এপেন্ডিক্স,৩০টির মতো সিজারসহ অন্যান্য অপারেশন করে থাকেন।তিনি জানান,সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদের গ্রামের বাড়ি কয়রা উপজেলায়।সিভিল সার্জন হিসেবে পদোন্নতি পাবার আগে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ছিলেন।
তবে নিজের ভুলের কারনে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয় অস্বীকার করেছেন সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ।তিনি দাবি করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সভার কারণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।সেখানে অন্তস্বত্বা এক রোগি ভর্তি দেখতে পেয়ে তিনি অপারেশন করেন।অপারেশনে মৃত সন্তান জম্ম নিয়েছে।সিভিল সার্জন দাবি করেন,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যান্য চিকিৎসক ঢাকায় ট্রেনিংয়ে থাকায় তিনি অপারেশন করেছেন।তবে তাঁর এই দাবি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদিপ বালা। তিনি বলেন,কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোন চিকিৎসকই ঢাকাতে ট্রেনিংয়ে ছিলেন না।অপারেশনের সময় তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ছিলেন।সন্ধ্যায় তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে কয়রা ছাড়েন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।