এস.এম.শামীম,দিঘলিয়া(খুলনা)// আগামীকাল ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাচন। শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারনা। চা দোকান থেকে শুরু করে ভোটারদের আত্মীয় স্বজনের বাড়ী পর্যন্ত ভোট পাবার আশায় দেখা করছেন প্রার্থীরা। খুলনা জেলা পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড হল দিঘলিয়া উপজেলা। ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৮১ জন। স্থানীয় বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের মৃত্যুর কারণে বর্তমানে ভোটার ৮০ জন। এ আসনে সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩ জন। তাদের মধ্যে তালা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোল্যা আকরাম হোসেন।
এ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন,উপজেলার খানজাহান আলী থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম বাবু (হাতি) এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেন (টিউবওয়েল)।প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের জন্য চরম ছোটা ছুটি খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী ৩ এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ২ জন।
খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনের আরমাত্র একদিন বাকী। শেষ মুহূর্তের জন্য প্রার্থীদের ভোটারদের কাছে ছোটাছুটি করছেন। সবাই শেষ মুহূর্তের জন্য নিজের পক্ষে ভোটারদের সমর্থন আদায়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। এবারের নির্বাচনে দিঘলিয়া উপজেলার ভোটারদের আনুকূল্য লাভের আশায় ছুটছেন সাধারণ সদস্য প্রার্থী ৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী ২ জন। তবে ভোটাররা তাদের সমর্থন কার পক্ষে এটাই দেখার বিষয়। সাধারণ সদস্য পদে দিঘলিয়া উপজেলা থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৩ জন। দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক সাধারণ সদস্য মোল্যা আকরাম হোসেন, দিঘলিয়া উপজেলার যোগীপোল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাবু) ও দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের ব্রহ্মগাতী গ্রাম নিবাসী মোঃ জাকির হোসেন। তবে এবারের নির্বাচনে সাইফুল ইসলামের (বাবু) সাথে জাকির হোসেনের প্রতিযোগিতা হবে। সে ক্ষেত্রে বাবুর বিজয় হতে পারে এমনই গুঞ্জন উঠেছে ভোটারদের মাঝে।
এদিকে জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ৭, ৮ ও ৯ এর এবার প্রার্থী হয়ছেন ২ জন। ২ জনই খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য। খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ফারহানা নাজনীন ও খুলনা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী এ্যাড. জেসমিন পারভীন। এবারের নির্বাচনে এ দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ নেত্রী জেসমিন পারভীন জলি বিজয়ী হলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
এবারের নির্বাচনে কে ভোটারদের পাশে উন্নয়নের হাতকে বাড়িয়ে দেবে? কে এলাকার উন্নয়নে ভোটারদের পাশে এসে দাঁড়াবে? এগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই তার মূল্যবান ভোটটা প্রয়োগ করবে এটাই সকল ভোটারের লক্ষ বলে জানা গেছে।আগামী কাল সোমবার ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে দিঘলিয়ায় সদস্য পদে নির্বাচনে লড়াই হবে হাড্ডা হাড্ডি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।