অতনু চৌধুরী(রাজু),বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি //বাগেরহাটের মোংলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংখ্যালঘু এক বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেছেন প্রতিপক্ষরা। প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলার শিকার ওই বৃদ্ধ এখন হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন।এ ঘটনায় থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবারের থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়,উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মহিদুল শেখের (৪৫) সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো একই এলাকার হরিপদ হালদারের (৬৯) মধ্যে। পূর্ব থেকে চলে বিরোধের জেরে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মহিদুল,তার ছেলে নিলয় ও তার ভাগ্নে রুবেল তরফদার সাতপুকুরিয়া রাস্তার মোড়ে আগে থেকে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষ হরিপদ হালদারের উপর অতর্কিত হামলার চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা হরিপদকে লাঠি, রড ও লোহার শাবল দিয়ে মারপিট করে মারাত্মক জখম করেন। তখন বৃদ্ধার চিকৎকারে তার পুত্রবধু সুমিত্রা হালদারসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন।
পরে তাকে সেখান থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ওই বৃদ্ধ সারা শরীরে কাটা-ফুলা জখম নিয়ে হাপাতালে কাতরাচ্ছেন। আহত বৃদ্ধের ছেলে সন্জয় হালদার বলেন, আমাদের সাথে মহিদুল শেখের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধকে ঘিরে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। তারই মধ্যে আমার বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করে আধামরা করে ফেলেছে। আমার বাবার সারা শরীর মারধরের আঘাতে কালো ফুলার সৃষ্টি হয়েছে।হাসপাতালের বেডে নড়তে-চরতেও পারছেন না তিনি। এ ঘটনায় রবিবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহিদুল শেখ বলেন,হরিপদ হালদারের সাথে আমার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে ফোন রেখে দেন। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন,এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি,অভিযোগের তদন্ত করছেন এসআই আলী রেজা। তদন্ত সাপেক্ষে বিবাদীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।