অতনু চৌধুরী (রাজু)বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি// ছয় ঋতুর দেশে হিসেব অনুযায়ী শীতকাল না এলেও প্রকৃতির যেন আর তর সইছে না। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মধ্যে টানা বৃষ্টিপাত পরিবেশে অকেটাই ঠাণ্ডা ভাব নিয়ে এসেছে। রাতে বা ভোরের দিকে এখন গায়ে চাপাতে হচ্ছে কাঁথা বা হালকা কোনো কম্বল। আর সকালে এই কয়দিন অনেক যায়গাতেই দেখা গেছে শিশির আর ছোপ ছোপ কুয়াশা।রবিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে বাগেরহাট জেলায় দেখা গেছে অনেকটাই ঘন কুয়াশার চাদর। চারপাশ গাঢ় কুয়াশার আস্তরণে ঢাকা পড়ায় সামান্য দূরত্বেও স্পষ্টভাবে কোনো কিছু ঠাহর করা দুষ্কর যেন। ভোরের কুয়াশা দেখে মনে হতেই পারে এ যেন পূর্ণ শীতকালের পরিবেশ।
সরেজমিনে আজ রবিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় দেখা গেছে, গাঢ় কুয়াশায় রাস্তাঘাট চারপাশ ঢেকে আছে।বৃষ্টির মতো ফোঁটা হয়ে ঝরছে শিশির! রাস্তাঘাট ভিজে আছে। সামান্য দূরত্বেও তেমন পরিস্কার কিছু দেখা যাচ্ছে না। আর ভোরে প্রাতঃভ্রমনে বের হওয়া অনেককেই মাথায় মাফলার চাপিয়ে হাটতে দেখা গেছে। এদিকে ভোরে কুয়াশার কারণে বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যানবাহনের সংখ্যা কম রয়েছে বলে জানা গেছে। দূরপাল্লার গাড়ি স্বল্পগতিতে হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে। এছাড়া বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন স্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাগেরহাট জেলা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে সকাল থেকে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা কিছুটা কম। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। পুরো রাস্তায় কুয়াশায় ঢাকা পাড়ে আছে।
প্রাতঃভ্রমনে বের হওয়া অচিন্ত চৌধুরী বলেন,আজ ঘুম থেকে উঠে দেখি প্রচুর কুয়াশা পড়েছে। শীত আসার আগেই ঘণ কুয়াশায় ঢেকে আছে চারপাশ। হঠাৎ কুয়াশায় বেশ ভালোই লাগছে। কুয়াশা জানান দেয় শীতের আগমনী বার্তা। শীত প্রকৃতিতে দেয় এক নতুন রূপ। ছয় ঋতুর দেশে বর্ষা আর শীত এখন পর্যন্ত মানুষের মনকে নাড়া দেয়। এর মধ্যে শীত আসে নানা বৈশিষ্ট্য নিয়ে। ভোরের শিশির আর খেজুরের রস শীতের সৌন্দর্যের মধ্যে অন্যতম। শীতের আবহ অনুভব করতে ছায়াঘেরা গ্রামের বিকল্প নেই।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।