মোঃ আলমগীর হোসেন,লোহাগড়া( নড়াইল)প্রতিনিধি // নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়ন পরষিদের চেয়ারম্যান মো.লাবু মিয়ার মাদক সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন আইডিতে ভিডিওটি দেখা যায়। তবে কে এটি প্রথম আপলোড করেছে তা জানা যায়নি। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতিক নিয়ে জয় লাভ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ভাইরাল ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়,সাদা পাঞ্জাবী পরা চেয়ারম্যান লাবু মাদক সেবন করছেন।তার সাথে রয়েছেনে আরো কয়েকজন।তবে তাদের মুখ দেখা যায়নি।এদিকে ভিডিওটি ছেড়ে তার ক্যাপশানে কেউ কেউ লিখেছেন,‘যুবকদের মাদক থেকে দূরে রাখতে নিজেই ইউনিয়নের সকল ইয়াবা খেয়ে শেষ করছেন মাদক ব্যবসায়ী মো. লাবু মিয়া নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ০৩ নং শালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান’।
একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন কাজ করায় ভিডিওটির কমেন্ট বক্সে নিন্দার ঝড় তুলেছেন জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। তবে চেয়ারম্যান লাবু মিয়া মাদক সেবনের কথা অস্বীকার করেছেন। মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ভিডিওটি তার নয়,তিনি আদৌ কখনো এ কাজ করেনি। অন্য কারো ছবির উপর তার ছবি বসিয়ে এমনটি করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন,দলের চেয়ারম্যান যদি মাদকাসক্ত হয়,আর এ বিষয়ে প্রমানসহ কোন অভিযোগ পায় তাহলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন বলেন, ইতোমধ্যে তার (চেয়ারম্যান লাবু) বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি আসার পরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা আসবে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা। নড়াইলের জেলা প্রশাসক মো.হাবিবুর রহমান বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি মাদক সেবন, মাদক ব্যবসা বা এ সংক্রান্ত কোন বিষয়ে সে জড়িত থাকে এটি কোনভাবেই কাম্য নয়, অত্যন্ত দুঃখজনক। ভিডিওতে যা দেখা গেছে সেক্ষেত্রে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরে তার বক্তব্য ও অন্যান্য ডকুমেন্টস দেখে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের নিন্দানীয় কাজ কোন জনপ্রতিনিধি না করে সে বিষয়ের উপর নজর দেয়া হচ্ছে। লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, অভিযোগ প্রমানিত হলে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে, এমনকি দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।