1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
আর্ন্তজাতিক এলসিআইএফ অনুদান পেল খুলনা লায়ন ফারিহা উইমেন ডেভেলপমেন্ট সেন্টার জলবায়ু পরিবর্তন,রোগমুক্ত পোনার স্বল্পতাসহ খুলনা অঞ্চলে উৎপাদন কমছে চিংড়ির লোহাগড়ায় এনপিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে মসজিদ রাতের আধাঁরে গুড়িঁয়ে দেওয়ার অভিযোগ কেশবপুরে শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মানোবধিকার আইনী সহায়তা প্রদান কারী সংস্থা লিডারশিপ টেনিং ক্যাম্পিং খুলনার ময়লাপোতার মোড়ের নকশা পরিবর্তন করার দাবিতে নিরাপদ সড়ক চাই’র মানববন্ধন কওমী-আলিয়া ভেদাভেদ ভূলে আলেমদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে-মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান খুবি হবে একটি ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয় : উপাচার্য সৌন্দর্য বর্ধন চাই কিন্তু সড়ক সংকুচিত করে নয়-খুলনা নাগরিক সমাজ রামপাল উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মান্দায় মঠ গাড়ি আদর্শ কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ নতুন সভাপতির বাগেরহাটে ৫’শত গ্রাম গাঁজা’সহ এক মাদক কারবারি আটক কয়রায় খাস জমিতে ভবন নির্মাণ, ব্যবস্থা নেয়নি ইউএনও চুকনগর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে ফেবারিট চুকনগর বণিক সমিতির পরিচালক কয়রায় প্রতারণা করে বৃদ্ধ মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন তেরখাদায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইন্টার ইউনিভার্সিটি ড্যান্স : সিজন -৬ দ্রুত নির্বাচনই দেশের জন্য মঙ্গলজনক- মির্জা ফখরুল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষক গ্রেপ্তার

নড়াইলে অতিথি পাখি ধরতে ব্যাবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল ফাঁদ

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৬০ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ আলমগীর হোসেন,লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি // নড়াইলের বিভিন্ন বিল ও জলাশয় থেকে প্রযুক্তির ফাঁদে ফেলে অতিথি পাখি শিকার করছে শিকারিরা। জেলার বিভিন্ন স্থানে হরহামেশায় দেখা মিলছে আধুনিক প্রযুক্তির ডিজিটাল ফাঁদের।পরিবেশবিদরা বলেছেন এটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে,এ বিষয়ে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।

জানা যায়,প্রতি বছরের মতো শীতের শুরুতে শীতপ্রধান দেশ থেকে এবারও দল বেঁধে অতিথি পাখিরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা নড়াইলের বিভিন্ন বিল ও জলাশয়ে আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে চাঁচুড়ী বিল, ইছামতি বিল, কাড়ার বিল, নলামারা বিল, তালবাড়িয়া বিল, পাচুড়িয়া বিল,গোপালপুর-বগুড়ার বিল হাজার হাজার অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে।

জলাশয়ে দেশি-বিদেশি পাখির মধ্যে রয়েছে-বালি হাঁস, কালকোচ,কায়েম,ডুঙ্কর,পানকৌড়ি, পাতাড়ি হাঁস,হাঁস ডিঙ্গি, কাদা খোঁচা, খয়রা, চেগা, কাচিচোরা,মদনটাক, শামুখখোলা ও বক।এক শ্রেণীর অসাধু শিকারিরা পাখি ধরে বিক্রি করছে। অতিথি পাখি শিকারের জন্য এবার শিকারিরা প্রযুক্তির ফাঁদসহ অভিনব কৌশল ব্যবহার করছে। যে কারণে এ অঞ্চলে অতিথি পাখির বিচরণ ক্ষেত্রগুলো ক্রমশ তাদের মরণ ফাঁদে পরিণত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,অতীতে মাছ ও ফড়িং দিয়ে ফাঁদ পেতে,কীট-পতঙ্গের সাথে কীটনাশকের বিষটোপ দিয়ে, খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে, বড়শি ও কারেন্ট জালের ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করা হতো।
তবে বর্তমান প্রযুক্তির যুগে পাখি শিকারি চক্র প্রযুক্তির সহায়তায় পাখিদের বোকা বানিয়ে সহজেই তাদেরকে শিকার করেছে। তারা ওই সব পাখির ডাক আগে থেকেই ডাউনলোড করে পোর্টেবল সাউন্ড-বক্সে ঢুকিয়ে রাখে।যেখানে পাখিদের আনাগোনা বেশি সে সব বিল ও জলাশয়ের বৃহৎ এলাকা জুড়ে জালের ফাঁদ পেতে ঘিরে তার মাঝখানে ওই পোর্টেবল সাউন্ড-বক্সে পাখির ডাক বাজানো শুরু করে। আর ওই ডাক শুনে সতীর্থদের নিরাপদ অবস্থান মনে করে পাখিরা শিকারির পাতা ফাঁদের মধ্যে নামতে শুরু করে। আর ওখানে নামলেই পাখিরা ফাঁদে আটকে যায়।

এভাবে প্রতিদিন রাত ৮টার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত চলে অভিনব কায়দায় পাখি নিধনের কর্মযজ্ঞ। তারা জানায়, রাতে শিকার করা এসব পাখি সূর্যের আলো দেখার আগেই বিক্রি হচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ক্রেতার কাছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পেশাদার পাখি শিকারি বলেন, বাজারে অতিথি পাখির চাহিদা খুব বেশি। ধরতে পারলে বিক্রিতে কোন সমস্যা নেই। অনেকেই অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখেন। ফলে ভোর রাতেই পাখি তাদের বাড়িতে পৌঁছে যায়।

পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস এর প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির বলেন,শিকারিদের ভয়াবহ ছোবল থেকে মুক্ত হতে পারছে না পাখিগুলো। এসব পাখি নিধনের কারণে একদিকে জীব-বৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ বাড়ছে। পাখিরা শুধু প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে না,ভারসাম্যও রক্ষা করে।

জেলার কালিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেছেন,বিষয়টিতে তিনি এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাননি। অতিথি পাখিসহ সকল বন্যপ্রাণী দেশের সম্পদ। তাদের রক্ষা করা সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব। তিনি খোঁজ নিয়ে ও থানা পুলিশের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন,বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা ২০১২ আইনের ৩৮ (১) ধারা মোতাবেক অতিথি পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। শিকারিদের শনাক্ত করতে পারলে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।