এস.এম.শামীম দিঘলিয়া,খুলনা // খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি কলেজ পাড়ার আবুল হোসেনের পুত্র বাবু (৩৫) কে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ধারালো রামদা ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্নক রক্তাক্ত জখম করে,এ ঘটনায় বাবুর মাতা হীরা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৮,তারিখ ২৮/১১/২০২২ ইং। দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শওকত কবিরের নির্দেশনায়, দিঘলিয়া থানার ওসি তদন্ত রিপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে,এসআই আজিজ মাহমুদ, এসআই রানা প্রতাপ,এসআই সঞ্জিত সাহা,এসআই কৌশিক কুমার দে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে জুলফিকার সরদারের পুত্র শান্ত সরদার (২০) কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। গত ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে আটটা র দিকে সেনহাটি আলহাজ্ব সরোয়ার খান কলেজ পাড়ার আবুল হোসেনের পুত্র এলাকার খেলার মাঠে লুডু খেলছিল। এ সময় সেনহাটি একই এলাকার চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী মাইনুল ও ইসমাইলের নেতৃত্বে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী দুই দিক থেকে অতর্কিত হামলা চালায়।এ সময় বাবু দৌড়ে পালাতে গেলে সন্ত্রাসীরা তার পিছনে পিছনে ধাওয়া করে। তাকে গলি রাস্তায় ফেলে ধারালো রামদা ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্নক রক্তাক্ত জখম করে।এলাকাবাসী আহত বাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।অবস্থার অবনতি হলে,উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার সমস্ত শরীরে ৪৭ টি কোপের চিহ্ন দেখা যায়।
দিঘলিয়া উপজেলার আলহাজ্ব সরোয়ার খান ডিগ্রী কলেজ পাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কলেজের সামনে খেলার মাঠের গলির মধ্যে একটি বাসায় মা-বাবাকে নিয়ে বাস করে মইনুল। পিতার নাম মিজানুর রহমান, এলাকার একজন মটরভ্যান মিস্ত্রী। মাতা দিঘলিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের আউট সোর্সিং কর্মচারি। মইনুল এলাকায় চিহ্নিত বাহিনী গড়ে তুলেছে।
এলাকায় চাঁদাবাজী,হামলা,মারামারি,অস্ত্রের মহড়া দেওয়া,নেশা দ্রব্যের আমদানি ও কেনাবেচা করা,লোকজনের পোশা হাঁস-মুরগি চুরি করে ভোজ অনুষ্ঠিত করা,উঠতি বয়সিদের নিজ দলে টানা,দলে ভিড়তে অসন্মতি জানালে তার ওপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করাসহ অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে,উক্ত মঈনুলের বিরুদ্ধে।গত জুন মাসে এই মইনুল সেনহাটি কেসিআই মাঠ এলাকার মুরাদের পুত্র শান্তকে কুপিয়ে মারাত্নক রক্তাক্ত জখম করে। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়। এলাকায় এই মাইনুল গ্যাংদের বিরুদ্ধে আগে-পিছে অনেক অভিযোগ রয়েছে। মইনুলের অপর এক সহযোগী ইসমাইল দিঘলিয়া থানার অস্ত্র মামলার আসামী।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শওকত কবির জানান,আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসীর দাবি উক্ত সন্ত্রাসী মইনুল গ্যাংদের গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।