এস.এম.শামীম দিঘলিয়া,খুলনা// দিঘলিয়ায় পৈতৃক সূত্রে জমি নিয়ে বিরোধে ভাই বোন সমানভাবে বন্টনেও বোন জামাইয়ের নানা কৌশল। সুত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার ৩ নং সদর ইউনিয়ন এর ৬ নং ওয়ার্ড দেয়াড়া এলাকার বাসিন্দা মৃতঃ আব্দুল কুদ্দুস এর ১ ছেলে ও ৫ কন্যা সন্তান রয়েছে এবং পৈতৃক সূত্রে রেখে যাওয়া জমিজমা স্থানীয় ঐতি চেয়ারম্যান ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়।কিন্তু ৫টি বোনের একটি বড় ভাই উজ্জ্বল শেখ তার ৪ বোনকে মানাতে পারলেও সেজো বোন ও বোনের জামাই ইব্রাহিম ফকির তা মানতে রাজি হননি।
একপর্যায়ে আপন ভাই বোন দের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং নিরুপায় হয়ে উজ্জ্বল শেখ স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ শাহাবুদ্দিন ও ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান হায়দার আলী মোড়ল এবং দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলামকে বিষয় টি অবগত করেন,এবং সকলের সমন্বয় একটি সালিশের দিনধার্য করা হয়।এদিকে অতি লোভী বোনজামাই ইব্রাহিম ফকির গোপনে উজ্জ্বল ও তার আরো একটি বোনের নামে মামলা দায়ের করে এবং উক্ত বোনজামাই ইব্রাহিম ফকির বাগেরহাটের চিতলমারী গ্রামের বাসিন্দা তাই ইব্রাহিম ফকির সু কৌশলে ঐ এলাকার বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক পরিচয়ধারী ২৫/৩০ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে গত ৯ ই নভেম্বর রাত ১১টায় দেয়াড়াস্থ উজ্জ্বল এর বসতবাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে।
এবং উজ্জ্বল এর পরিবারকে ডাকাডাকি শুরু করে একপর্যায়ে উজ্জ্বল বেড়িয়ে এসে জানতে চাইলে উক্ত মানবাধিকার সাংবাদিক পরিচয়ধারী লোকজন বলেন আমরা মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা ঢাকা থেকে এসেছি তদন্ত করতে কথাটি শুনে উজ্জ্বল এর পরিবার তাদের এতো রাতে আসার কারণ জানতে চাইলে তারা ধমকে বলেন আমরা রাতেই তদন্ত করবো,এবং অনাধিকার ২৫/৩০ জনের একটি গ্রুপ বাড়িতে প্রবেশ করে এবং আশপাশের লোকজন চমকে উঠে যে এতো রাতে এরা কারা প্রায় ১ঘন্টা মানবাধিকার পরিচয়ধারীগন উজ্জ্বল এর বাড়ি ও পৈতৃক সূত্রে রেখে যাওয়া জায়গা জমি মাপজোক ও ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে বেড়িয়ে যান।
ঠিক তার ১ সপ্তাহ পরেই দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম এর অফিস কক্ষে উক্ত বিষয় নিয়ে সালিশের দিন ধার্য করা হয় এবং সেখানেও দেখা যায় উজ্জ্বল এর বোনজামাই ইব্রাহিম ফকির বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে সেই ২৫/৩০ জনের গ্রুপটি নিয়ে হাজির হন।এবং উক্ত ঘটনার বিবরণ সোনার পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম সহ উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বোনজামাই ইব্রাহিম ফকির কে বলেন আপনি মামলা করেছেন এবং মানবাধিকার নিয়ে এসেছেন তাহলে সালিসির কি দরকার তখন ইব্রাহিম ফকির বলেন সকলে মিলে একটা দিন ধার্য করেন আমি সালিসি তে যা রায় হবে তাই মেনে নেবো কিন্তু লোভী বোনজামাই ইব্রাহিম ফকির একসপ্তাহ যেতে না যেতেই তার লালসা বেড়ে যায় এবং উজ্জ্বল ও তার অন্য ৩ বোন দের কে বিভিন্ন মানুষ দিয়ে ফোন দিয়ে নানা ধরনের অপৃতিকর কথা বার্তা বলে বেড়াচ্ছে এমনকি উজ্জ্বল এর ঘর তৈরির চলমান কাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বন্ধ করে রেখে দিয়েছেন,বিষয় টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়েছে এবং গত ৩রা ডিসেম্বর সন্ধায় উজ্জ্বল শেখ ও বোন সুমী আক্তার দিঘলিয়া থানা পুলিশ কে অবগত করেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।