খুলনার খবর // শুরুতেই আক্রমন খেলার আট মিনিটের মাথায় প্রথম গোল,আর ১০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল।দ্বিতীয়ার্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে আর বল জড়াতে পারেনি ব্রাজিল। বরং, কাম ব্যাক করার চেষ্টা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। যার ফলে একটি গোল শোধ করতে সক্ষম হয় তারা। তবুও নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল।গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস, নেইমার, রিচার্লিসন এবং পাকুয়েতা।এ যেন গোল উৎসব।নেইমারের দলে ফেরাই কি দলকে চাঙ্গা করা।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে এই ম্যাচে দলে ফিরেছেন নেইমার। তার ফেরাতে যেন দল পুরোপুরি উজ্জীবিত এবং ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম আক্রমণেই গোল বের করে নিয়েছে সেলেসাওরা। এরপর ১২, ২৯ এবং ৩৬তম মিনিটে আরও তিনবার দক্ষিণ কোরিয়ার জালে বল জড়িয়েছে ব্রাজিল।
ম্যাচের ৭ম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে অসাধারণ এক আক্রমণ সাজান রাফিনহা। তিনি ডানপ্রান্ত বল ঠেলে দিলে সেটা ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পেয়ে যান এবং সময় নিয়ে ডান পায়ের শট নেন তিনি। জড়িয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার জালে।
১০তম মিনিটে বক্সের মধ্যে রিচার্লিসনকে ফাউল করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় জুং উ ইয়ং। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ১২তম মিনিটে স্পট কিক নেন নেইমার। জড়িয়ে যায় কোরিয়ানদের জালে।
১৬ মিনিটে গোলের অসাধারণ এক সুযোগ পেয়েছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। হাওয়াং হি চানের দুর্দান্ত শটটি দারুণ ক্ষিপ্রতায় গোল থেকে ব্রাজিলকে বাঁচান গোলরক্ষক অ্যালিসন।
ক্যামেরুনের কাছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২৯টি চেষ্টার পরও গোল পায়নি ব্রাজিলিয়ানরা। আফ্রিকান দেশটির জাল একবারও খুঁজে পায়নি তারা। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে শুরু থেকেই গোল পেতে শুরু করেছে সেলেসাওরা।
ভিনিসিয়ুস, রিচার্লিসন, নেইমার এবং রাফিনহার সমন্বয়ে গড়া হয়েছে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ। ভয়ঙ্কর এই আক্রমণভাগকে রোখার সাধ্য দক্ষিণ কোরিয়ার নেই। যে কারণে সপ্তম মিনিটে প্রথম আক্রমণেই অসাধারণ গোলটি আদায় করে নেয় ব্রাজিল।
২৯তম মিনিটে অসাধারণ এক সম্মিলিত আক্রমণ থেকে গোল আদায় করে নেয় ব্রাজিল। এবার গোলদাতা রিচার্লিসন।নিজে বক্সের সামনে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে দারুণ স্কিল দেখান। এরপর বল ঠেলে দেন মার্কুইনহোসের দিকে। তিনি বল দেন থিয়াগো সিলভার কাছে। সিলভা আলতো টোকায় বল ঠেলে দেন বক্সের ভেতরে। পেয়ে যান রিচার্লিসনই। সামনে গোলরক্ষক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। আলতো টোকায় বলটি তিনি জড়িয়ে দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার জালে।
৩৬তম মিনিটে ৪র্থ গোল করে ব্রাজিল। এবার গোলদাতা লুকাস পাকুয়েতা। মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে এসে বামপ্রান্তে ভিনিসিয়ুসকে পাস দেন নেইমার। ভিনিসিয়ুস বলটি নিয়ন্ত্রনে নিয়েই আলতো টোকায় বল বক্সের মধ্যে ডানপ্রান্ত ফেলেন। লুকাস পাকুয়েতা এক শটেই সেই বলটি জাড়িয়ে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার জালে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই (৪৭তম মিনিটে) গোলের সোনালি এক সুযোগ পেয়েছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। সন হিউ মিন একেবারে গোলরক্ষকে সামনে পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার শটটি অসাধারণ দক্ষতায় কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন অ্যালিসন।
৭৭ মিনিটে একটি গোল শোধ করে দক্ষিণ কোরিয়া। ফ্রি-কিক পায় কোরিয়ানরা। সন শট নেন। ডিফেন্সের দেয়ালে লেগে বল ফিরে আসলে সেটি পেয়ে যান সিউং হো পাইক। বাম পায়ের অসাধারণ এবং বুলেট গতির এক শটে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।