1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩১ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
মান্দায় অবৈধ জমি দখলদার উচ্ছেদ করণে উপজেলা প্রশাসনের স্পট গণশুনানী অনুষ্ঠিত লোহাগড়ার লক্ষীপাশা ইউনিয়ন কৃষকদলের নতুন কমিটির গঠন নড়াইলের নলেন গুড়ের সন্দেশ দেশের গন্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশেও খালিশপুরস্থ আর্যতলা ধর্ম সভা মন্দিরে রকিবুল ইসলাম বকুলের কম্বল বিতরণ কচুয়ায় ০৩ দিন ব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া,সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন খুলনায় অস্ত্র ও ট্রাকসহ ডাকাত দলের দুই সদস্য আটক – আহত দুই পুলিশ সদস্য দিঘলিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইগ্রুপের মারামারি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুর রউফ এর সুস্থতার জন্য দোয়া অনুষ্ঠান বটিয়াঘাটায় সংখ্যালঘুদের জমিতে টিনের বেড়া স্থাপনের অভিযোগ তেরখাদায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প এর আওতায় উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত তেরখাদায় ভূমি সেবা বিষয়ক সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত সাগরদাঁড়িতে কপোতাক্ষ নদের উপরে বাঁশ-কাঠের নতুন ব্রীজ তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে মোরেলগঞ্জে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার দিঘলিয়ায় জাকারিয়া মাদ্রাসায় খতমে বুখারী ইসলামী মহা সম্মেলন বাংলাদেশ স্কাউটস দিঘলিয়া উপজেলার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের অভিযানে ০২’টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ০২’টি ককটেল ও অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম’সহ আটক -২ নিরালা আবাসিক এলাকার জনকল্যাণ সমিতির নির্বাচন-২০২৫ আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতিতে বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ মোংলা বন্দরের ৭০’টি নামীদামি গাড়ি নিলামে খুলনায় বালু ভর্তি ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

কেশনপুরের মৃৎ শিল্পীরা রস ও গুড়ের পাতিল তৈরীতে ব্যস্ত

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২৪৭ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // যশোর কেশবপুরের মৃৎ শিল্পীরা রস ও গুড়ের পাতিল তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।যশোরের যশ খেজুরের রস।রস ও গুড়ের মৌসুমকে সামনে রেখে যশােরের কেশবপুর উপজেলার মৃৎ শিল্পীরা এখন খেজুরের রস, গুড় সংরক্ষণের জন্য ভাড় ও কলসী তৈরিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। শীত আসলেই পাল সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবারদের দম ফেলবার ফুসরত থাকে না।ভাড় তৈরির প্রধান উপকরণ এটেল মাটি যা দূরের মাঠ থেকে সংগ্রহ করে বাড়িতে এনে তা পানি দিয়ে ভিজিয়ে কোদাল দিয়ে কয়েকবার ঝুরঝুর করে পা দিয়ে ছেনে মােলায়েম করা হয়। মোলায়েমকৃত মাটি দিয়ে গুড়ের পাতিল,কলস, পিঠা বানানো ছাঁচ ইত্যাদি তৈরি করেন।

চরকার উপর মাটি রেখে চরকা ঘুরিয়ে হাতের কারুকার্য দিয়ে ভাড়ের কানাসহ ভাড়ের উপরিভাগ তৈরি করা হয়। অন্য আর একটি ছাঁচে ফেলে ভাড়ের নীচের অংশ তৈরির পর পৃথক দুটি অংশকে জোড়া লাগিয়ে দুই/তিন দিন রৌদ্রে শুকানাে হয়। রৌদ্রে শুকানো গুড়ের পাতিল, কলস, পিঠা বানানো ছাঁচ ইত্যাদি রং লাগিয়ে পাজায় (আগুন) ৫/৬ ঘন্টা ব্যাপী পােড়ানোর পর তৈরি হয় পরিপুর্ণ রস সংগ্রহের উপযোগী ভাড়/গুড়ের পাতিল, কলস ইত্যাদি। কেশবপুরের কুমারদের অনেকেরই আজ আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে খেজুরের রস ও গুড় সংগ্রহের জন্য পাতিল তৈরী করে। মৃৎ শিল্প ব্যবসা হলো মৌসুমী ব্যবসা।এই মৌসুমে রস ও গুড় সংগ্রহের জন্য ভাড়/পাতিলসহ কলস, পিঠা বানানো ছাঁচ, চা খওয়া খুরি, চা খওয়া ভাড়, নান্দা, কূয়ার পাটসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরী করে রাখেন। বর্ষাকালে তাদের অবসর সময় কাটাতে হয়। তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। তারপরও উপজেলার বসুন্তিয়া, বড়েঙ্গা, কন্দর্পপুর, বরনী, গােপালপুর,বুড়িহাটী, গৌরীঘোনা, ভেরচী, বুড়লী, কলাগাছি, বাউশলা গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের মৃৎ শিল্পীরা বংশ পরম্পরায় বাপ-দাদার এ আদি পেশাটি আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।ইতিমধ্যে এ অঞ্চলের গাছিরা গুড় উৎপাদন রস আহরণের জন্য খেজুর গাছ তলার কাজসহ চাচ দিতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যই রস ও গুড় উৎপাদন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কেশবপুরের গাছিরা। এ জন্য গাছিদের প্রয়াজনীয় উপকরণ ভাড়ের যােগান দিতে মৃৎ শিল্পীরা দিন-রাত মহাব্যস্ত সময় পার করছেন।

সরেজমিনে উপজেলার গৌরীমানা গ্রামের (পাল) কুমার পাড়া গিয়ে দেখা যায়, রবীন পাল ও তার স্ত্রী পারুল রাণী একমনে হাতের কারু কার্যের নিখুঁত ছোঁয়ায় ভাড় তৈরী করে চলেছেন। ছাঁচে ভাড় তৈরির নান্দনিক দৃশ্যটি খুবই মনমুগ্ধকর। ভাড় বানানোর দৃশ্য অবলোকনের জন্য যে কেউ থমকে যাবেন। ভেরচী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এ এলাকার পাল পাড়ার অনেক বাড়ির নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই ভাড় তৈরিতে এত ব্যস্ত যে বাড়তি কথা বলার সময় তাদের নেই। তবুও ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে কথা হয় ভাড় তৈরিরত পুলিন, বিষ্ণুপদ, রাস মনিসহ কয়েক জন মৃৎ শিল্পীর সাথে। বসুন্তিয়া গ্রামের মনু পাল জানান, আমরা এক একটি ভাড় ২৫/৩০ টাকা করে বিক্রি করছি। এখন একটু টান কম হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে কেশবপুরের মৃৎ শিল্পীরা রস ও গুড়ের পাতিল তৈরীতে এখনো ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কাজেই মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে মাটির তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহারে আমাদের নিজেদের আগ্রহী হওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও উৎসাহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে এ শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ একান্ত জরুরি। সরকার যদি কুমোর সম্প্রদায়কে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের আর্থিকভাবে কিছু সহায়তা দেয়, তাহলে আশা করা যায় মাটির শিল্পের সোনালি দিন আবার ফিরে আসবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।