চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি // শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারনে জেঁকে বসেছে শীত। বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বাতাসের আর্দ্রতা শতকরা ৯৫ ভাগ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষন অফিসের ইনচার্জ মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, আবহাওয়ার এ পরিস্থিতি আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সুর্যের দেখা মেলেনি। মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নির্বারন করার চেষ্টা করছে। সবচেয়ে কষ্ট আছে খেটে খাওয়া মানুষ। যাদের প্রতিদিন রুটি-রুজির সন্ধানে সকাল বেলায় কাজে বের হতে হয় তারা প্রচন্ড শীতে কাবু হয়ে যাচ্ছে।
রিক্সাচালক দাউদ আলী বলেন, সকাল ৮টার মধ্যে কাজে লাগতে হয়। যে শীত তাতে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে।প্যাডেল করতে কস্ট হচ্ছে।
নির্মান শ্রমিক আসলাম বলেন, ভোরে এসে কাজে লেগে ইট বালু, সিমেন্ট মেশাতে বেগ পেতে হচ্ছে।শাবল,কর্নিক ধরতে পারছিনা।উচুতলা ভবনে বাতাস বেশি হওয়ার জন্য কাজ করতে পারছিনা।
চায়ের দোকানদার ডলার বলেন, আমার জীবনে এত শীত দেখেনি। কেউ একটা কম্বলও দিলো না।এদিকে এসব শীতার্ত মানুষের মাঝে প্রতিদিন জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংস্থার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিশেষ করে কম্বল বিতরন করা হচ্ছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় কম।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘এ জেলায় যে পরিমান শীতবস্ত্র বিতরন করা হচ্ছে তা চাহিদা তুলনায় অপ্রতুল। আরো শীতবস্ত্র চেয়ে মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শীতজনিত কারনে হাসপাতাল গুলোতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে । বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ১৫ টি বেডের বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৫০ জন। অপরদিকে প্রতিদিন ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রচুর রোগী ভর্তি হচ্ছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।