1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
কেশবপুর মাদ্রাসায় আজীবন সদস্য সম্মেলন ও পাগড়ি প্রদান লোহাগড়ায় এনপিপির পৌর সম্মেলনের প্রস্তুুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় দিনব্যাপী পিঠা উৎসব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরে শীতার্ত কোমলমতি শিশুদের মাঝে জামা, কাপড়, বয়স্কদের কম্বল বিতরন তারেক রহমানের পক্ষে পাইকগাছায় দুই সহস্রাধিক দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ নওগাঁ মান্দায় ছুটির দিনে সরকারি বই বিক্রির সময় ধরা খেয়ে পালালেন প্রধান শিক্ষক খুলনা সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের শোকবার্তা খুলনা সার্কিট হাউজের নিরাপত্তা প্রহরী ডিউটিরত অবস্থায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু খুলনায় জামায়াতের যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল ভাড়া, ভোরে যুবকের বিশেষ অঙ্গ কর্তন নড়াইলে কুল চাষে দুই বন্ধুর বাজিমাত কেএমপি ডিবির অভিযানে সন্ত্রাসী ব্লেড বাবু গ্রেফতার মোংলায় রাতের আধারে মৎস্য ঘের দখল করে মাছ লুটের অভিযোগ কেশবপুরে সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে,দূর্নীতি মুক্ত নেতৃত্ব দরকার ইউ.পি.আর ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র উপহার যশোরের বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিত ও সেবাইতদের নয় দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন বর্জ্য থেকে তৈল ও গ্যাস তৈরি করতে চায় সাতক্ষীরা ছেলে পীযূষ দত্ত সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে উপস্থিতি শূন্যতায় বিএনপির সম্মেলন পণ্ড জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের গেজেট প্রকাশ

আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৭১ বার শেয়ার হয়েছে

নিউজডেস্ক // আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাঙালি জাতির জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্মরণীয় দিন। এই দিনেই স্বাধীনতার মহানায়ক স্বদেশে ফেরেন। ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে থাকার পর ১৯৭২ সালের এই দিনে বেলা ১টা ৪১ মিনিটে স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন মুক্তির মহানায়ক। তার আগমনের ছোঁয়ায় পূর্ণতা পায় মহান স্বাধীনতা।

সেদিন বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকেল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। স্বয়ং জাতির জনক তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’। সেই থেকে দিনটি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত হয়।

প্রতি বছরে মতো এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হবে। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন এবং আলোচনা সভা, দোয়া, শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে পূর্ণতা পেয়েছিল বাংলার বিজয়। তাই দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। আজকের এ দিনে তিনি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে এক কালজয়ী মহাপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে ফিরে পায়। আমাদের মহান নেতার আগমনে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দ পরিপূর্ণতা লাভ করে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন,‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বাস্তবায়ন শুরু করে। লাখ লাখ নিরীহ বাঙালির ওপর আক্রমণ ও গণহত্যা চালায় তারা। এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে আটকে রাখে। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় তিনি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে বন্দি ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে শোচনীয় পরাজয়ের পর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তির পরপরই তিনি বাংলাদেশে ছুটে আসতে চান। ওই সময়ের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলি ভুট্টো তাকে তেহরান বা অন্য কোনো এয়ারলাইন্স বেছে নিতে বললে তিনি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে আসার সিদ্ধান্ত নেন। লন্ডন পৌঁছে তিনি বিবিসিতে বিশ্ববাসীর উদ্দেশে একটি ভাষণ দেন। তিনি যখন ভরাট কণ্ঠে তার সুস্থতার কথা জানান, ঠিক সেই মুহূর্তটিতে লাখ লাখ বাঙালি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। তখনও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড হিথ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় ব্রিটিশ বিরোধী দলীয় নেতা হ্যারাল্ড উইলসনও তাকে স্বাগত জানাতে সাক্ষাৎ করেন। তাকে দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় অতিথির মর্যাদা।

লন্ডন থেকে দিল্লিতে পৌঁছান অবিস্মরণীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র দেশবাসী তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেন। এসময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকার জন্য ভারতবাসী ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এরপর আসে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। ১০ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে তিনি পা রাখেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত লাখ লাখ বাঙালি সেই মুহূর্তে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন প্রিয় নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফিরে পেয়ে। পুরো দেশই তাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত ছিল, তার কিছুটা চিত্র ধরা পড়ে তেজগাঁও বিমানবন্দরে। জয় বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠা বিমানবন্দর যেন বাংলার আকাশ-বাতাসকেই প্রতিনিধিত্ব করছিল। পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ সেই মুহূর্তে অবিস্মরণীয় এই নেতাকে গ্রহণ করতে অংশ নিয়েছিলেন। মহান এই নেতাকে একটু ছুঁয়ে দেওয়ার জন্য সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এক ধরনের ব্যাকুলতা কাজ করছিল। তাকে বহনকারী ট্রাকটিও সে সময় ফুলে ফুলে ভরে গিয়েছিল।

স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের গণহত্যার সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন। স্বাধীন বাংলাদেশে জনতার উদ্দেশে দেওয়া প্রথম সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কাজে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। সেদিন রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমি বাঙালি জাতির এই ভালোবাসার ঋণ শোধ করে যাব।’ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের মাত্র তিন বছর সাত মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কুচক্রি মহলের চক্রান্তে সপরিবারে নিহত হন তিনি। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শোধ করে যান সেই ঋণ।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনে প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কেন্দ্রীয় কমিটির অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে সব কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথভাবে পালনে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।