1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
লোহাগড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন বাগেরহাটে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক-২ অপপ্রচা‌রের প্রতিবা‌দে যা বল‌লেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি‌নি‌ধি রাতুল কেশবপুর কৃষক দলের সাথে কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন আজাদ-এর মতবিনিময় বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল কেশবপুরে কল্যাণ ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দরের পণ্য ওঠানামা স্বাভাবিক;রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ কেশবপুরে জলাবদ্ধ ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ আওয়ামী শাসনামলে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে- শেখ নাসির উদ্দিন বটিয়াঘাটায় একসঙ্গে ৩৩ জনের জামায়াত ইসলামীতে যোগদান ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না- মোহাম্মদ ওমর ফারুক অভয়নগরে যুবককে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন খুলনায় ফুলকুঁড়ি আসরের সুবর্ণজয়ন্তী পালন নওগাঁয় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নদীতে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে মাটির ঘর ধ্বসে দিশেহারা সহিলের পরিবার জমির বিরোধে মা-ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন মোবাইল চোরকে অসুবিধায় ফেলতে গুগল নিয়ে আসছে নতুন ফিচার কেশবপুরে এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার সাংবাদিককে না পেয়ে স্ত্রী-সন্তানকে মারধর, বাড়িতে ভাঙচুর বাগেরহাটে সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র

যশোর বেনাপোল মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ গাছে বাড়ছে মানুষের মৃত্যুঝুঁকি

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৯৬ বার শেয়ার হয়েছে

শাহাবুদ্দিন মোড়ল,ঝিকরগাছা যশোর // যশোর বেনাপোল মহাসড়কের দুপাশে অবস্হিত মৃত, আধা মৃত, রাস্তার উপর হেলে থাকা, রাস্তার উপর গোড়া সহ দাঁড়িয়ে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ গাছের কারণে দিন দিন মানুষের জান ও মালের ঝুঁকি বাড়ছে। রাস্তার গাছের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণঘাতী দূর্ঘটনা। হচ্ছে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি।

যশোর বেনাপোল মহাসড়কের লাউজনি থেকে শার্শা পর্যন্ত চার শতের কিছু বেশি পুরনো রেইনট্রি গাছ আছে। এই গাছগুলোর বয়স ১৭৮ বছর। সবগুলো গাছই এখন বয়সের ভারে মৃতপ্রায়। ২০২০ সালের আম্ফান ঝড়ে এর মধ্যে প্রায় ১৫টি গাছ উপড়ে পড়ে। এছাড়া প্রায় ৫০ টি গাছ সম্পুর্ন ভাবে মরে শুকিয়ে গেছে। এই গাছের শুকনো ডাল পড়ে এবং গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে গত ৫ বছরে অন্তত ১০ জন মানুষ মারা গেছে, আহত হয়েছে বহু সংখ্যক। বিভিন্ন সময় ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর মাটির সাথে মিশে গেছে। প্রাণহানি ঘটেছে গবাদিপশুরও। এখনও প্রতিনিয়ত এই গাছের কারণে যশোর বেনাপোল মহাসড়কে কোথাও না কোথাও দূর্ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া অন্তত ১৫ টি রেইনট্রি গাছ এমনভাবে রাস্তার উপর হেলে আছে যে এর নীচে দিয়ে পরিবহন, কাভার্ড ভ্যান কিংবা মালবাহী ট্রাক গেলে গাছে বেধে যায়।

২০১৭ সালে যশোর বেনাপোল মহাসড়ক চারলেন করার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু পরিবেশবাদীরা গাছ কেটে রাস্তা সম্প্রসারণের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে একটা রীট পিটিশন দায়ের করেন। শোনা যায় তারা শতবর্ষী গাছের সংখ্যার মিথ্যা তথ্য এবং গাছের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তে ফটোশপে এডিট করা ছবি দিয়ে কোর্টকে বিভ্রান্ত করেন। তখন কোর্ট ৬ মাসের জন্য গাছ কাটার উপর স্থগিতাদেশ দেন। এর ফলে দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দরের ব্যস্ততম এই মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ২৮৮ কোটি টাকা খরচ করে রাস্তার দুপাশে গাছ রেখেই সড়কের পুননির্মাণ কাজ করা হয়। নতুন রাস্তা নির্মাণের পর দুপাশে গাছ থাকার ফলে এই মহাসড়কটি এখন সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে।
এই মহাসড়কের পাশে অবস্হিত বেনেয়ালি গ্রামের শাহিন আহমেদ বলেন, বেনেয়ালি গির্জার সামনে সড়কের দুপাশে দুটি গাছ হেলে রাস্তার উপর গেটের মত হয়ে আছে। ফলে কোনো যানবাহন তার সঠিক লেনে চলতে না পারায় বিপরিতগামী গাড়ির সাথে সংঘর্ষ বাঁধে।

ট্রাকচালক আবু বক্কার বলেন, সারাদেশ গাড়ি চালিয়ে বেড়াই কিন্তু যশোর বেনাপোল রোডের মত রাস্তার ওপর গাছ আর কোনো সড়কে দেখিনি। গাছের জন্য এই রোডে গাড়ি চালাতে ভয় লাগে।

বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অফ কমার্স এর পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, পৃথিবীর কোথাও মহাসড়কের ওপরে গাছ নেই যেটা যশোর বেনাপোল মহাসড়কে আছে। পৃথিবী যেখানে এগিয়ে চলেছে সেখানে দেশের সর্ব বৃহৎ স্থল বন্দরের রাস্তাটি গাছের কারণে ৬ লেন না হওয়াটা দেশের অর্থনীতির জন্য অশুভ লক্ষ্মণ। তিনি মানুষের জান ও মালের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এই গাছগুলো দ্রুত অপসারণ দাবী করেন।

সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই গাছগুলো জেলা পরিষদের অধীন। তারা ইচ্ছা করলে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সময়ের প্রয়োজনে গাছ কেটে রাস্তাটি ৬ লেন করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল বলেন, গাছ মারার বিপক্ষে হাইকোর্টের রায় আছে। সেখানে বিষয়টি নিষ্পত্তি হলে গাছ কাটার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

এদিকে এই ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অপসারণ করে যশোর বেনাপোল মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার দাবীতে স্থানীয় জনগণ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন, স্মারক লিপি প্রদান সহ বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।