মেহেরপুর প্রতিনিধি // ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকার বোরো ধানের বীজতলা। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তবে বীজতলা রক্ষায় বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৫৫৫ হেক্টর।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,ধানের চারায় হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। কিছু চারা লালচে হয়ে যাচ্ছে। আবার কিছু চারা পচে যাচ্ছে।
চলতি বোরো মৌসুমে চার বিঘা জমিতে ধানের চাষ করবেন শফি সিয়া। কিন্তু বীজতলা নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। বেশ কয়েকদিন ধরেই খুব ঠান্ডায় তার বীজতলা নষ্ট হওয়ার পথে।কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।
তিন বিঘা জমিতে ধান চাষের জন্য চারা রোপণ করেছেন ইনতাজ আলী। ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে তার চারাগুলোও নষ্ট হওয়ার পথে। ধানের চারা রক্ষায় বর্তমানে ইউরিয়া সার ও সিয়োভিট প্রয়োগ করছেন।তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না।ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না।
রবিউল ইসলাম বলেন,কৃষি অফিসের পরামর্শে নলকূপের পানি দেওয়াসহ নানা চেষ্টা করেও বীজতলা রক্ষা করা যাচ্ছে না। চারা কিনে আবাদ করাও কঠিন হয়ে যাবে। কারণ অধিকাংশ কৃষকের একই অবস্থা। তাই বোরো আবাদ কীভাবে করবো সে চিন্তায় আছি।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন,বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে বীজতলা ক্ষতির আশঙ্কা আছে। কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বীজতলা রক্ষায় প্রতি রাতে পানি জমিয়ে সকালে তা ছেড়ে দিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঘন কুয়াশা থেকে রক্ষায় প্রতি রাতে পলিথিন দিয়ে বেড ঢেকে রাখতে ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে অন্য ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।