পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || কেশপুরের সাগরদাঁড়ীতে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় এটা একটি যুগের দাবি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও নারী মুক্তির অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার নামে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখন মহাকবির নামে একটি সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে যশোরবাসী যে দাবি তুলেছেন সেখানে যদি আমি অংশীজন হতে পারি তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করবো। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মধুমেলার দ্বিতীয় দিনে মধুমঞ্চে মধুসূদনের স্বদেশ চেতনা ও বাঙালি জাতীয়তাবোধ বিষয়ে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন উপাচার্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর, (অনুজীব বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদান জন্য ২০২২-এ একুশে পদকপ্রাপ্ত) এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জেলা প্রশাসন যশোর-এর আয়োজনে দ্বিতীয় দিনে মধুসূদনের স্বদেশ চেতনা ও বাঙালি জাতীয়তাবোধের উপর বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, অর্থনীতি বিষয়ের দিকপাল শিক্ষক, অধ্যক্ষ, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ, যশোর। জনাব রেজাউদ্দিন স্ট্যালিন, কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
প্রধান আলোচক ছিলেন, ডঃ তানভীর দুলাল, অধ্যাপক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কবি ও সাংবাদিক হোসাইন নজরুল, সহকারী অধ্যাপক,রঘুনাথপুর কলেজ, ঝিকরগাছা, যশোর, সাংবাদিক জনাব সাজেদ রহমান, চারণ সাংবাদিক, জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক জনকণ্ঠ, যশোর, কবি ও লালন গবেষক সাইফুদ্দিন সাইফুল, ঝিকরগাছা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন,জনাব শোভা রায়, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার, কেশবপুর ও জনাব উজ্জ্বল ব্যানার্জী, সহকারী প্রধান শিক্ষক,পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর, যশোর। আবৃতি সংগঠক, কন্ঠবিথি, মাগুরা।কেশবপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বে রাতে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক ও যাত্রাপালা ‘মায়ের চোখে জল’ মঞ্চস্থ হয়।মধুমেলার দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থী ও মধুভক্তরা মেলা প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করে। গভীর রাত অবধি দর্শনার্থীরা মধুমঞ্চে কেশবপুর ও যশোরের শিল্পীগোষ্ঠীর পাশাপাশি দেশবরেণ্য কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের পরিবেশন, কৃষিমেলা, প্যান্ডেলে সার্কাস, যাদু প্রদর্শনী উপভোগ করেন। সপ্তাহব্যাপী এ মধুমেলা শেষ হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।