এস.এম.শামীম,দিঘলিয়া খুলনা || দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন এর ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য রুমা নাসরিন ডেইজির বাড়ি থেকে গরু চুরির ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয় যে গত ২/৯/২২ ইং মহিলা ইউপি সদস্য ডেইজির গৃহপালিত একটি গরু চুরি হয়। এবং চোর চক্র ঐ গরু চুরির বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ভাবে জানান দেয় যে রুমা নাসরিন ডেইজি নিজেই তার গরু সরিয়ে ফেলেছে।কিন্তু ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে গরু চুরির রহস্য ফাঁস হয় এবং উক্ত চুরির সাথে জড়িত ঐ এলাকার বাসিন্দা সলেমান শেখ এর পুএ রশিদ শেখকে প্রকাশ্যে ক্যামেরার সামনে আনতে সক্ষম হয়েছে মহিলা ইউপি সদস্য ডেইজি।
রশিদ শেখ ক্যামেরার সামনে জানান তাকে জোরপূর্বক ভয়-ভীতি দেখিয়ে উক্ত গরু চুরি করিয়ে ও মহিলা ইউপি সদস্য ডেইজির নামে মিথ্যা বানোয়াট দোষারোপ করতে বাধ্য করেছে।এবিষয়ে রশিদ শেখ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান তাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে উক্ত এলাকার বাসিন্দা চান্দু মোল্লার পুত্র মশার মোল্লা,বাবর মোল্লার পুএ জনি মোল্লা চান্দু মোল্লার পুতত্র মিলান মোল্লা, আফসের শিকদার এর পুএ ছরো শিকদার,মনিরুল মোল্লার পুত্র হুমাই মোল্লা,মিলে রশিদ শেখকে ডেইজির নামে মিথ্যা অপবাদ দিতে বাধ্য করেছে এমনকি গরু চুরির পর থেকে রশিদ শেখ পলাতক ছিলো।
এবিষয়ে মহিলা ইউপি সদস্য ডেইজি তার গরু চুরির বিষয়টি নিয়ে দিঘলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ও ঐ সময় দায়ের করেন,দীর্ঘ পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও অনেক চেষ্টার পরে ৫ ই ফেব্রয়ারী পলাতক রশিদ শেখকে এলাকায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।এবং গ্রাম্য সালিসির মাধ্যমে বিষয়টি নিষপত্তি করার চেষ্টা করা হলে তাতেও ব্যর্থ হন জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী একপর্যায়ে ৭ই ফেব্রয়ারী রশিদ শেখকে দিঘলিয়া থানায় হস্তান্তর করেন এবং উক্ত রশিদের ভাষ্যমতে রশিদ শেখ সহ আরো ৫ জনের মহিলা ইউপি সদস্য ডেইজির চাচা শশুর জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে মোট ৬ জনের নাম উল্লেখ করে দিঘলিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এবিষয়ে দিঘলিয়া থানা কর্তৃপক্ষ জানান এজাহারের প্রেক্ষিতে প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।