পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া,পাঁচপোতা, আলতাপোল,পাঁচারইসহ বিভিন্ন গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের গাছতলা পূজা ধর্মীয় গাছতলায় মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী)সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে অনেক রাত পর্যন্ত অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।ঐতিহ্যবাহী বসুন্তিয়া গাছতলা পূজার্চনায় পূরোহীতের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত মিহির চক্রবর্তী বলেন,এই পূজায় হরি, কালী,শীতলা,মা-মনষা, ও মা মঙ্গলা এই পাঁচ দেবির পূজা করা হয়। সার্বিক মঙ্গল কামনায় এই পূজা করা হয়।
বসুন্তিয়া পূজা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাস্টার সুজিত কুমার সরকার জানান, এখানে বিভিন্ন গ্রামের নারী-পুরুষসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের শত শত লোক এই পূজা দেখতে আসেন। আনুমানিক ৮০ বছরের উর্দ্ধে এখানে জাঁকজমকপূর্ণভাবে এই পূজা হয়ে থাকে। প্রতিবারের মত এই পূজায় মানসিক হিসাবে ভক্তদের ৭জন ওজন করে মিষ্টান্ন-ভোগ ও টাকা পূজায় নিবেদন করেছেন। সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব দাস বলেন, বসুন্তিয়া গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক মঙ্গলকোট ইউনিয়নের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত বীরেন্দ্রনাথ মল্লিকের সহধর্মিণী প্রয়াত শোভা রাণী মল্লিকের স্মরণে এই মন্দিরটি সংস্কার করায় ভক্তদের আগমন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পূজার্চনার সাথে সাথে হরিনাম সংকীর্তন অনু্ষ্ঠিত হয়। পূজানুষ্ঠানে এলাকা ইউপি মেম্বর কামরুল ইসলাম উপস্থিত সকলের সাথে মত বিনিময় করেন।
গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তি সুভাষ রায় জানান,প্রথম আমলে এখানে পাঠা বলি হতো,এখন সেবদলে মিষ্টান্ন দেওয়া হয়। হিন্দু-মুসলমান অনেক লোক মানসা করে সুফল পেয়েছেন। জাঁকজমকপূর্ণভাবে এখানে অনুষ্ঠান হয়ে আসছে।
কোমড়ে ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ায় শুভ পাল (৬৩ কেজি) তার ওজনে মন্দিরে মিষ্টি,ফলফুলরী প্রদান করে।একই ভাবে অসুস্থ্যতা থেকে মুক্তি পাওয়ায় দীপ পাল, দিশা পাল, শ্রাবনী মল্লিক,পরম মজুমদারের জন্য মন্দিরে মিষ্টি, ফলফুলরী দেওয়া হয়। তাছাড়া পলাশ সরকার অসুক থেকে মুক্তি পাওয়ায় মন্দির কমিটির নিকট ১২ হাজার টাকা দান করেন। এই মন্দিরে মানষা করে মুক্তি পাওয়ায় প্রতি বছর ভক্তরা দান করেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।