1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
ভাঙ্গা হলো খুলনা নিয়ন্ত্রনের কেন্দ্রবিন্দু শেখ বাড়ি  মোংলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, তদন্তে বিএনপি চৌদ্দগ্রামে পণ্য না পেয়ে টিসিবি কার্ডধারীদের মানববন্ধন বাগেরহাটের চাঞ্চল্যকর হত্যার অভিযোগে জড়িত আসামীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আটক খুলনা মহানগর ও জেলা যুবদলের আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে খুলনার রূপসা নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত মান্দায় ৭ নং প্রসাদপুর ইউপিতে স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে টি সি বির স্মার্ট কার্ড বিতরণ লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের পর ধানক্ষেত থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার চিত্রনায়িকা পপির বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ খুলনার রায়েরমহলে বৈশাখী নামের গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ খুলনায় নৌকা বাইচ ২০২৫ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন তেরখাদা উপজেলায় শীত কালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দিন আগামীকাল রূপসা নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খুলনায় পুলিশের তালিকাভুক্ত ৪ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার নওগাঁ মান্দায় ভারতীয় জাল রুপিসহ আ.লীগ নেতা আটক মোংলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ ফকিরহাটে পুকুর থেকে এক অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির নব গঠিত আহবায়ক কমিটির অনুমোদনে শহরে আনন্দ র‌্যালি

দফায় দফায় বৈঠকেও হয়নি সমাধান; খুলনায় চিকিৎসা পাচ্ছেন না রোগীরা

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৪১ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ শহিদুল ইসলাম, খুলনা || খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় তৃতীয়দিনের কর্মবিরতি চলছে। দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনো সমাধান হয়নি। বৈঠক শেষে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিএমএ’র সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি রোগীরাও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তারা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা নিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাইকগাছা থেকে থেকে স্ট্রোক করা রোগী বোন তাহমিনা খাতুন (৪০) নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন আকলিমা বেগম। তিনি বলেন, তার বোনের ডায়াবেটিকস, হাইপ্রেসারও আছে।

বিশেষ প্রয়োজনে নার্সরা আসছেন। বোন মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। 2দিন বসে আছি, আর কয়দিন বসে থাকবো জানি না। ঠিকমতো সেবা পেলে বোন সুস্থ হয়ে যেতো।

হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন শেখ মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, কালিয়া থেকে ডেলিভারি রোগী নিয়ে খালিশপুর ক্লিনিকে গিয়েছিলাম। সেখানে ডাক্তার না থাকায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখানে বড় ডাক্তার নেই। নার্সরা দেখাশোনা করছে। কী হবে! এ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।

তবে খুমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মেহেদী হাসান বলেন, কর্মসূচি চললেও রোগী আমরা দেখছি। গতকালও সিনিয়র চিকিৎসকরা এসে রোগী দেখেছেন। এখানে প্রতিনিয়ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। তাদের তো দেখতে হবে। আমরা সেবার দিকটি খেয়াল রাখছি।

রোগী ভোগান্তির বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান বলেন, প্রত্যেক দিন হাসপাতালে সাধারণত ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ রোগী থাকছে। নরমাললি ১৫ থেকে ২০ জন রোগী প্রত্যেক দিনই মারা যায়। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এরসঙ্গে ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ও রোগী মৃত্যুর পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি ১৪০০ রোগী ছিল। এরমধ্যে মারা গেছে ২০ জন, ২৮শে ফেব্রুয়ারি রোগী ছিল ১৩৪৫ জন, ১৭ জন মারা গেছে। আর ১লা মার্চ রোগী ছিল ১৪১৮ জন, মারা গেছে ২০ জন। ২রা মার্চ রোগী ছিল ১৩১০ জন, ১৬ জন মারা গেছে। এরমানে আমরা দেখছি যে ধারাবাহিকতা একভাবেই আছে। যেমন মারা যায় তেমনই আছে। ধর্মঘটের জন্য বেশি মারা গেছে এমন কোনো কথা নয়। আর দায়িত্বে অবহেলার জন্য কোনো রোগী মারা যায়নি। তিনি বলেন, আমাদের জরুরি সেবা কিন্তু সবসময় চালু আছে। হাসপাতালের ভেতরের সেবা চালু আছে। ডাক্তাররা সবসময় রাউন্ড দিচ্ছে।

বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল এসেছেন। আমাদের সঙ্গে ও প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং করেছেন। কীভাবে সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশা করি। আমরাও চাই না রোগীরা ভোগান্তিতে থাকুক। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।

চিকিৎসকরা জানান, গত ১লা মার্চ থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন তারা। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বিএমএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি রোগীদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাদেরকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেন। এ ছাড়া বিএমএ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন খুলনা বিএমএ নেতাদেরকে ফোন করে একই নির্দেশনা দেন। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল চত্বরে যে বিক্ষোভ সমাবেশ করার কর্মসূচি বাতিল করে খুলনা বিএমএ কার্যালয়ে জরুরি সভা করেন চিকিৎসকরা। তবে ঊর্ধ্বতনদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারে নির্দেশ থাকলেও প্রায় ৪ ঘণ্টার সভায় কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

খুলনার বিএমএ সভাপতি ডা.শেখ বাহারুল আলম বলেন, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর উপর হামলাকারী পুলিশের এএসআই নাঈমকে গেপ্তার এবং দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। শনিবার দুপুর ১২টায় আবু নাসের হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশেরও ডাক দেয়া হয়। এ ছাড়া একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় বিএমএ কার্যালয়ে সংগঠনের জরুরি সাধারণ সভা করা হবে। ওই সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।