সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || লক্ষ্মীপুরে চরবংশীর খাসেরহাট সড়কের খাল দখল করে অর্ধ’শত অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে।এতে করে দীর্ঘ খাল সরু হয়ে পানি প্রবাহ কমে যাচ্ছে।
ফসলি জমিতে সেচ ও পানি নিষ্কাশনে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ডাকাতিয়া নদী সংলগ্ম খালের উপর আরসিসি পিলার দিয়ে ব্রীজ নির্মান হচ্ছে।এর প্রতিবাদে গত ২৬ ডিসেম্বর প্রায় শতাধিক গ্রামবাসি বিক্ষোভ করেছিলেন। কিন্তু তিন মাস কাজ বন্ধ রাখার পর এখন আবারও কাজ শুরু হয়েছে।
পাউবোর খালের উপর আরসিসি পিলারে পাকা স্থাপনা তৈরির সময় পুলিশ ও ভূমি তহশিলদারকে জানালে তারা কেউ ব্যাবস্থা নেয়নি।কিন্তু বংশীব্রীজ সংলগ্ন হোটেল মালিক সুমন পাউবোর কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই ব্রীজ ও বহুতল হোটেল ভবন নির্মান করছেন।
গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে সরজমিন গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায় এবং প্রশাসনকে ব্যাবস্থা নিতে ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী আবারও অনুরোধ জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বংশীব্রীজের ঢুকতেই পাউবোর উপর ডান পাশে খাবার হোটেল সুমনের। হোটেলের সকল ময়লা নদীতে ফেলে দূষন করছেন। এখন নতুন করে বাম পাশের পাউবোর খাল দখল করে আরসিসি পিলার দিয়ে ব্রীজ নির্মান করছেন।
পাউবো খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান বিষয়ে সুমন মিয়া বলেন, সড়কের পাশে পাউবোর কর্মকর্তার কাছে অনুমতি নিয়ে খালে স্থাপনা (ব্রীজ) নির্মাণ করছি। গ্রামবাসী না বুঝেই আমাকে কাজ করতে দিচ্ছে না।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, পাউবোর খাল দখল করে ব্রীজ নি্রমানের কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।ইউএনও অঞ্জন দাশ বলেন, ‘খাল দখল করে পাকা ইমারত নির্মান করা যাবেনা। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।। সংশ্রিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
খাল দখল করে ইমারত নির্মানের কথা স্বীকার করে লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ বলেন, সড়কের পাশে খাল দখল করে ব্রীজ নির্মানের বিষয়টি জেনেছি। দখলের স্থান পরিদর্শন করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।