বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি || দক্ষিণাঞ্চলের তরমুজ এর সুনাম দেশজুড়ে, রাজধানীসহ প্রতিটি জেলাতেই খুলনার তরমুজ এর চাহিদা ব্যাপক হারে আছে।একটা সময় নোনাপানির কারনে সাদা চাদরের আবরনে এখানকার মটি ঢাকা থাকতো, মৃক্তিকা গবেষনা ও কৃষি অধিদপ্তরের লবন সহিস্নু জাত উদ্ভাবনের বদৌলতে কৃষক,জামির মালিক ও কৃষি পন্যসামগ্রিই বিক্রেতারা গা ঝাড়া দিয়েছে, হোয়াইট গোল্ড খ্যাত বাগদা চিংড়ির পর গ্রীন ডায়মন্ড ক্ষ্যাত তরমুজ চাষে সাফল্যের সাথে ব্যাপক হারে চাষে আগ্রহী চাষিরা।
গতবছর তরমুজের চাষ দেরীতে হওয়ায় সময় মতো বাজার ধরতে না পারায় কৃষকদের লোকশান গুনতে হয়েছে।গত বছর ২০২২ সালে কৃষকরা তরমুজ চাষ করেছে দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে।কৃষকের পাশাপাশি করোনাকালীন অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বছর নতুন করে তরমুজ চাষে যুক্ত হন। এলাকার ৮০ শতাংশ চাষির ভালো ফলন হওয়ার পরও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও বিক্রিত মালের দাম না পাওয়ায় তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
গতবছর ১১ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে মধ্যস্বত্বভোগীদের জন্য কৃষকরা তরমুজের ন্যায্য দাম পান না।কৃষকরা তাদের নায্য দাবি ও অধিকার আদায়ে খুলনার এই দুই উপজেলাকে তরমুজ চাষের জন্য কৃষি অর্থনৈতিক জোন ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।ওই অঞ্চলের কৃষকদের দাবি নিয়ে কাজ করে অনেক কৃষক সংগঠন।
দাকোপ উপজেলা লাউডোপ ইউনিয়ন এর কৃষক অমালেন্দু বলেন-গত বছর আমরা তরমুজ চাষ থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। জমির মালিক জমির ইজারা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করেছিল কিন্তু এবছর কিছুটা কম। গত বছর যে জমির ইজারা ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা ছিল এই বছর তরমুজ চাষির আগ্রহ কম হওয়ায় ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা হয়েছে।
এবার ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ২০ টাকা,সার বীজ, কীটনাশকের দাম গায়ে উল্লেখিত খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সার,বীজ, কীটনাশকের দাম বাড়িয়ে কৃষককে ফাঁদে ফেলে বেশি মূল্য আদায় করা হয়েছে।পাশাপাশি দালাল চক্রের দৌরত্বে পাইকারি ক্রেতারা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কিনতে পারেনা, পাইকাররা যে ক্ষেতের দাম ৪ লাখ বলে,দালাল পাইকারকে ৩ লাখ দিতে উৎসাহী করে।
কৃষকদের এসব সিন্ডিকেট থেকে মুক্ত করতে হলে খুলনার দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলাকে তরমুজ চাষের জন্য কৃষি অর্থনৈতিক জোন ঘোষণা করতে হবে। তাহলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান এখানে কাজ করবে। পক্ষান্তরে কৃষকরাও লাভবান হবেন। ফলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থার বেশ উন্নয়ন হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।